Sunday 08 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রতারণা করে জামিন চাওয়ায় ২ জনকে পুলিশে দিলেন হাইকোর্ট


১১ মার্চ ২০২০ ২২:৩৫
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: হত্যা চেষ্টার দুই মামলায় প্রতারণা করে জামিনের চেষ্টা করায় দুই আসামিকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন হাইকোর্ট। দুই আসামি হলেন কক্সবাজারে চকরিয়া থানার ছায়েরাখালীর জামাল উদ্দিন ও কামাল উদ্দিন।

দুই আসামিসহ মামলার তদবিরকারকের বিরুদ্ধে মামলা করতে শাহবাগ থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার তদবিরকারক হচ্ছেন জনৈক নাজিম উদ্দিনের স্ত্রী সীমা একইসঙ্গে আসামিদের আইনজীবী জুলফিকার আলী জুনুকে তথ্য গোপনের ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত।

বুধবার (১১ মার্চ) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আসামিদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন জুলফিকার আলী জুনু। রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুনুর রশিদ, সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ শাহীন মৃধা।

বিজ্ঞাপন

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, আসামিদের বিরুদ্ধে সামশুল আলম ও রুহুল আলম বাদী হয়ে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় গত ৪ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা চেষ্টার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করে। একটিতে চারজন ও অপরটিতে ১৫ জনকে আসামি করা হয়।

এ দুটি মামলায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আসামি জামাল উদ্দিন ও কামাল উদ্দিন হাজির হয়ে বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে দুই সপ্তাহের জামিন নেন। এই সময়ের মধ্যে তাদেরকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণে নির্দেশ দেওয়া হয়।

একইদিন ওই মামলার অন্য আসামিরা বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চে আগাম জামিনের আবেদন জানান। আদালত তাদেরকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।

এদিকে জামাল ও কামাল হাইকোর্টের আদেশ পালন না করেই তথ্য গোপন করে ফের আগাম জামিন চেয়ে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদন জানান। দ্বিতীয় দফায় করা আগাম জামিন আবেদনের বিষয়টি আজকে আদালতের নজরে আসে। পরে আদালত আসামি দুইজনকে পুলিশে তুলে দেন।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ শাহীন মৃধা বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এই দুই আসামির আবেদনের পক্ষেও আইনজীবী ছিলেন জুলফিকার আলী জুনু। তিনি তথ্য গোপন করে আসামিদের পক্ষে দ্বিতীয় দফায় আগাম জামিন চেয়েছেন। আমরা আগের জামিন আদেশের পর আইনজীবী যে সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন, সেটি আদালতে দাখিল করেছি। আদালত দেখে দুই আসামিকে আদালত থেকেই শাহবাগ পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। তাদেরকে পুলিশে সেপার্দ করে মামলা দায়ের করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আইনজীবী কেন তথ্য গোপন করেছে এক সপ্তাহের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত।

আদালত জামিন হত্যা মামলা হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর