একটু সহানুভূতি কি মাওসুফুল পেতে পারে না..?
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৩:২১
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
কচি লাউয়ের ডগার মতো ছোট একটি হাত কপালে ঠেকিয়ে দরদী কণ্ঠে উচ্চারণ ‘আসসালামু আলাইকুম’— ওয়াআলাইকুম আসসালাম……অতঃপর পরম স্নেহে বুকে টেনে নেওয়া।
পৃথিবীর সবটুকু সৌন্দর্য ও পবিত্রতা স্রষ্টা জমা রাখেন শিশুদের মধ্যে। তবে দুরারগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত তিন বছরের শিশু মাওসুফুলের সৌন্দর্য যেন একটু বেশিই মুগ্ধ করে সবাইকে। তারা মায়াবী চাহনী, আধো আধো বুলি, অসুস্থ শরীর নিয়ে টুকটাক ছুটে চলা ঘরময় এক অপার্থিব পরিবেশ তৈরি করে— রাজধানীর মতিঝিলের এজিবি কলোনির বাসায় তার সঙ্গে আধা ঘণ্টা কাটিয়ে অন্তত তাই মনে হয়েছে।
মাওসুফুল হক ত্বকি রাজধানীর আরামবাগে একটি প্রেসের কর্মচারী হামিদুল হকের একমাত্র সন্তান। তিন বছর আগে যখন ফুটে ফুটে সুন্দর মাওসুফুল হক ত্বকির জন্ম হয়, তখন আর দশটি পরিবারের মতোই হামিদুল হকের সংসারে বয়ে যায় আনন্দের হিল্লোল। কিন্তু এখন আর সেই আনন্দ নেই। ত্বকির দুরারগ্য ব্যধি বাবা হামিদুল হকসহ পরিবারের সবার হাসি কেড়ে নিয়েছে। এখন শুধু নিরন্তর সংগ্রাম একমাত্র সন্তানকে সুস্থ করে তোলার।
কিন্তু অসহায় বাবা হামিদুল হকের একক সংগ্রামে ফুটফুটে সুন্দর ত্বকিকে সুস্থ করে তোলা কোনো অবস্থাতেই সম্ভব না। প্রয়োজনীয় ২০ লাখ টাকা জোগার করা একজন প্রেস কর্মচারীর পক্ষে রীতিমতো অসম্ভব একটা কাজ। এ জন্য প্রয়োজন সমাজের বিত্তবান ও হৃদয়বান মানুষের সহযোগিত। প্রয়োজন ছোট্ট শিশু মাওসুফুল হকের জন্য একটু সহানুভূতি।
হামিদুল হক জানান, জন্ম থেকেই ত্বকির হৃৎপিণ্ড ছিদ্র। পরে তার ভালভ দুটিও নষ্ট হয়ে গেছে। প্রথম অবস্থায় মতিঝিলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, আদ-দ্বীন হাসপাতাল ও জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে ত্বকির চিকিৎসা হয়। কিন্তু এতে কোনো লাভ হয়নি। এরপর ২০১৫ সালের মার্চে ভারতের নারায়ানা হাসপাতালে নেওয়া হয় ত্বকিকে। সেখানে প্রায় দুই মাস চিকিৎসার পর টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় দেশে ফিরিয়ে আনতে হয়। ওই সময় নারায়ানা হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান ত্বকির বয়স ৩ বছর পূর্ণ হওয়ার পর তার অপারেশন করা যাবে। এজন্য খরচ হবে প্রায় ১৭ লাখ টাকা। এরপর থেকে টাকা জোগড়ের সংগ্রামে নামেন তিনি।
ত্বকির বাবা সারাবাংলাকে বলেন, আমার আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল। এক ব্যবসায় প্রায় ২০ লাখ টাকা লোকসান হওয়ার পর নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। বিক্রি করার মতো কোনো সম্পত্তিও নেই যে, বিক্রি করবো। ইতোমধ্যে ছেলের চিকিৎসায় প্রায় ১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখন ছেলের ওষুধ ও সংসারের খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছি। জানি না শেষ পর্যন্ত টাকা জোগাড় করতে পারবো কিনা।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : হামিদুল হক আজিম, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর ১২১-০০০-২৬২৯৭, সাউথইস্ট ব্যাংক, প্রিন্সিপাল শাখা মতিঝিল। মোবাইল নম্বর : ০১৮১৬-৬৯১০৬৯ (বিকাশ করা)।
সারাবাংলা/এজেড/জেডএফ