সাংবাদিক ধরতে ৪০ জনের বাহিনী, এ তো বিশাল ব্যাপার: হাইকোর্ট
১৫ মার্চ ২০২০ ১৪:৩৫
ঢাকা: কুড়িগ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে সাজা দেওয়ার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্ট এ সংক্রান্ত রিট শুনানিতে বলেন, ‘একজন সাংবাদিককে ধরতে মধ্যরাতে তার বাসায় ৪০ জনের বিশাল বাহিনী গেল, এ তো বিশাল ব্যাপার!’
এ বিষয়ে রোববার দায়ের করা রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওই সাংবাদিককে সাজা দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের বিষয়ে সোমবার (১৬ মার্চ) আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রশিদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের বিষয়ে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি। তাকে সাজা দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রোববার হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী ইশরাত হোসেন। রোববার দুপুরে রিটের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক ও আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল দেবাশীষ ভট্টাচার্য।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে আগামীকালের মধ্যে রায়ের কপি, সাজা মোবাইল কোর্ট না টাস্কফোর্স দিয়েছে, মধ্যরাতে এভাবে কারও বাসায় যাওয়ার এখতিয়ার আছে কি না প্রভৃতি তথ্য জমা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট বা টাস্কফোর্সকে কে অভিযোগ দিয়েছে, সেটির কোনো লিখিত আছে কি না তাও জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট।
ওই রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ১৭ জনকে রিটে বিবাদী করা হয়। এছাড়া ওই সাংবাদিককে সাজা দেওয়ার ঘটনায় কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনকে হাইকোর্টে তলবের নির্দেশনা চাওয়া হয় রিটে।
রিটে ফৌজদারী কার্যবিধি, ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং সংবিধানের ৩১, ৩২, ৩৫ এবং ৩৬ অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৩ মার্চ) মধ্যরাতে বাড়িতে হানা দিয়ে মারধর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে। তার বাসা থেকে আধা বোতল মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই সাংবাদিককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান।