Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বুড়িগঙ্গা দূষণরোধে দুটি ট্রিটমেন্ট প্লান্টের উদ্বোধন


১৮ মার্চ ২০২০ ১৫:২৩

ফাইল ছবি

ঢাকা: বুড়িগঙ্গার পানি দূষণরোধে দুটি ট্রিটমেন্ট প্লান্টের উদ্বোধন করেছেন নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এসময় তিনি বলেন, ‘প্লান্ট দুটির ফলে বুড়িগঙ্গায় শুধু পরিষ্কার পানি পড়বে। কোনো ময়লা আবর্জনা পড়বে না। এভাবে বুড়িগঙ্গাকে বাঁচানো সম্ভব হবে।’

বুধবার (১৮ মার্চ) সকাল ১১টায় রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে বুড়িগঙ্গার তীরে ড্রেনেজের মুখে দূষিত পানি পরিশোধনের লক্ষ্যে দুটি ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধন করেন।

বিজ্ঞাপন

এ সময় তিনি বলেন, ‘আগামী ছয় মাস এই প্রজেক্টটি পর্যবেক্ষণ করা হবে। এটি সফল হলে রাজধানী থেকে বুড়িগঙ্গায় যে কয়েকটি ড্রেন দিয়ে পানি সরাসরি নদীতে পড়ে, তার মুখে এরকম ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বসানো হবে।’

এছাড়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিনা প্রয়োজনে কাউকে লঞ্চে ভিড় না করার জন্য অনুরোধ করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় ও লঞ্চে অযথা যেন কেউ ভিড় করবেন না। তাতে সবার মঙ্গল হবে।’

নৌমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা সতর্কতায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। ভাইরাস ছড়ালে কেউ এর থেকে রেহাই পাবেন না। সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সব ধরনের কাজ করছে। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে সকল বর্ডার চেক পোস্টে স্ক্যানার বসানো হয়েছে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে।’

নৌ সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘রাজধানীর দূষিত পানি তুরাগ ও বুড়িগঙ্গায় সরাসরি পড়ে এমন ড্রেনেজের সংখ্যা ১৯৭টি। শুধু বুড়িগঙ্গায় আছে ৭০টি। এভাবে পানি পরিষ্কার করে বুড়িগঙ্গায় ফেললে ‍দূষিতের হাত থেকে রক্ষা পাবে। এরপর বুড়িগঙ্গার তলদেশ থেকে পলিথিন তুলে ফেললে সমস্যা হবে না। আগে পলিথিন ফেলা বন্ধ করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, ‘দুটি পাইলট প্রজেক্ট করা হয়েছে। একেকটিতে ব্যয় হবে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা। যা বিআইডব্লিউটিএ বহন করবে। এরপর চূড়ান্তভাবে করতে হলে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ব্যয় বহন করবে।’

ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপনকারী কোম্পানি গ্রীনবাডের প্রধান নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার সাঈদ তাসনীম মাহমুদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘ড্রেনের মুখে একটি পাঁচকক্ষ বিশিষ্ট চেম্বার করা হয়েছে। পানি এসে প্রথম চেম্বারে থামবে। এরপর দ্বিতীয় চেম্বারে যাবে। প্রথম ও দ্বিতীয় চেম্বারের মাঝখানে রড দিয়ে বানানো নেট বানানো হয়েছে। বড় ময়লাগুলো এখানে আটকা পড়বে। এরপর দ্বিতীয় চেম্বার থেকে তৃতীয় চেম্বারে পানি যেতে আরও একটি নেট ব্যবহার করা হয়েছে। সেখান থেকে চতুর্থ চেম্বারে যেতে আরেকটি নেটে আটকা পড়বে ছোট ময়লা। চতুর্থ চেম্বার থেকে পানি পঞ্চম চেম্বারে যেতে কোনো ময়লা যাবে না। এরপর সবশেষ পানি যখন নদীতে পড়বে তথন পানি অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘এই ট্রিটমেন্ট প্লাট চালাতে কোনো বিদ্যুতের প্রয়োজন পড়বে না। কেমিক্যালের দরকার হবে না। কোনো মোটরও লাগবে না। শুধু নেট ও ফিলটেশন ডিভাইস ও ব্যাকটেরিয়া দিয়ে পানি পরিষ্কার করা হবে। চার-পাঁচ বছর পর ফিলটেশন ডিভাইস পরিবর্তন করতে হবে। তবে প্রথম চেম্বারগুলোতে আটকা পড়া ময়লাগুলো কয়েক ঘণ্টা পরপর একজন অন্য একটি নেটব্যাট দিয়ে তুলে নেবে।’

দূষণ বুড়িগঙ্গা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর