করোনা নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার বন্ধে আইনি নোটিশ
১৮ মার্চ ২০২০ ১৭:০৫
ঢাকা: গবাদিপশু থেকে করোনা ভাইরাস ছড়ায় এমন মিথ্যা ও ভ্রান্তিকর ভুল তথ্য প্রচারণা বন্ধ এবং প্রত্যাহার চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১৮ মার্চ) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রাকিবুল হক এমিলের পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে গৃহপালিত, গবাদি পশু কিংবা পোষাপ্রাণীর মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ছড়ানো সংক্রান্ত মিথ্যা ও ভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারণা প্রত্যাহার ও বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা,আইইডিসিআর’র পরিচালক এবং ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানান আইনজীবী।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, সমগ্র পৃথিবী এখন কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রেমণ এবং প্রতিরোধে প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশের মানুষ যখন নানা ধরণের জল্পনা-কল্পনার মাঝে আছেন, তখন বেশকিছু গুজবের বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য প্রচারে গণমাধ্যমের ভূমিকাই প্রধান। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে আমরা লক্ষ্য করছি যে- সরকারি, বেসরকারিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রেমণ এবং প্রতিরোধের উপায়ের ধাপগুলোয় কিছু অবৈজ্ঞানিক, অপ্রমানিত এবং মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। যেমন- কোভিড-১৯ কিভাবে ছড়ায় তার একটি পয়েন্টে বলা হচ্ছে,”গৃহপালিত পশু-পাখি এবং গবাদি পশুর মাধ্যমে। অপরদিকে- তথ্য অধিদপ্তর কর্তৃক গত ৮ মার্চ প্রকাশিত এক বিজ্ঞাপ্তিতে উল্লেখ করা হয়- পোষা প্রাণীর সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশ্ব প্রাণি স্বাস্থ্য সংস্থা এবং CDC এর মত আস্তর্জাতিক সুত্রগুলো এসব বিষয় পরিস্কারভাবে নাকচ করেছে।‘
‘কোভিড-১৯ কোন পোষা বা গবাদি প্রাণী থেকে ছড়ায় বা ছড়িয়েছে এই বিষয়ে কোন প্রমাণ এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। কোভিড-১৯ থেকে প্রতিরোধের উপায়ে একটি পয়েন্টে বলা হচ্ছে, “অসুস্থ পশুর সংস্পর্শ পরিহার করুন।” অথচ প্রতিরোধের এই অংশটি উল্লেখ করবার আগে আরও কিছু বাক্য সংযোজন করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।’
আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান জানান, বাংলাদেশের গ্রামগুলোতে এমন কোন পরিবার নেই, যেখানে গবাদি পশু নেই। কিন্তু কিছু কিছু সংস্থার অসম্পূর্ণ তথ্যের ফলে প্রতিটি পরিবার তার গবাদি প্রাণী নিয়ে আতংকে থাকবে। তাই এসব বিষয়ে উপযুক্ত ব্যাখ্যাসহ সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রচার এবং ভুল তথ্য প্রত্যাহার ও প্রচার বন্ধ করতে নোটিশে ২৪ ঘন্টা সময়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলেও তিনি জানান।