অর্থনীতিতে ‘বড় বিপর্যয়’ দেখছে আন্তর্জাতিক চেম্বার
২৩ মার্চ ২০২০ ১৭:৩১
ঢাকা: করোনাভাইরাসের ফলে দেশের অর্থনীতিতে বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) বাংলাদেশ। সোমবার (২৩ মার্চ) সংগঠনটির পক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আশঙ্কার কথা জানানো হয়।
আইসিসি বাংলাদেশ সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সই করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘করোনার কারণে প্রান্তিক এবং উদীয়মান অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও বড়ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে। যেহেতু বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের ৭০ শতাংশেরও বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ক্যানাডা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে যায়। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বাংলাদেশের রফতানি ৪ দশমিক ৮ শতাংশ কমে ২৬ দশমিক ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে, যা বিগত অর্থবছরে একই সময় ছিল ২৭ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রফতানির এই নিম্মমুখী ধারা সামনের মাসগুলোতে আরও বেড়ে যেতে পারে। অন্যদিকে চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার এবং সরবরাহ চেইনের বড় দাতা। যারা রফতানি, আমদানি এবং উৎপাদনের জোগান দেয়।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, উৎপাদন, ‘সরবরাহ চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ও বাজার বিপর্যয়ের ফলে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অর্থনৈতিক বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হতে পারে। অর্থনৈতিক খাত বিশেষত বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং রেমিটেন্স কমে যেতে পারে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নির্ধারণের সময় এখনও হয়নি। কেননা প্রতিদিনই নতুন পরিস্থিতির উদ্ভব হচ্ছে। সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রাক্কলন দ্বারা কেবলমাত্র ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপকতা বোঝানো যেতে পারে। প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নির্ভর করবে সংক্রমণের বিস্তার ও এর স্থায়ীত্বের ওপর এবং নীতি নির্ধারকরা স্বাস্থ্যগত এবং অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি উপশমে কত দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে তার ওপর। ব্যবসায়ী মহলকে ওভারেচিং নীতি কাঠামোতে একমত হতে হবে। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বিশ্বাস করি যে, এ ধরনের দুর্যোগ- যার কোনো ভৌগলিক সীমারেখা নেই, এটি মোকাবিলায় কেবলমাত্র সমন্বিত পদক্ষেপই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।’
‘আমরা এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য নীতি-নির্ধারকদের তাগিদ দিচ্ছি তাদের নেতৃত্বে সরকারি এবং বেসরকাসি খাতের নেতাদের একত্র করার জন্য। অতীতে বাংলাদেশ অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগ সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছে এবং আমরা আশা করি এ দুর্যোগও সাহস এবং সহিষ্ণুতার সঙ্গে উৎরাতে সক্ষম হবে।’- উল্লেখ করা হয় আইসিসির বিবৃতিতে।