ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
নেত্রকোনা : নেত্রকোনায় আটজনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বিচারিক হাকিম আদালত-৪ এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরো পাঁচজন রয়েছেন। বুধবার এই মামলাটি দায়ের করেন, কেন্দুয়া উপজেলা হারুলিয়া গ্রামের শিব্বির আহমেদ।
মামলায় যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন- একই গ্রামের আবু আশরাফ মিসবাহ উদ্দিন (৭৭), মহি উদ্দিন আহমেদ (৭০) , গাজী রহমান ওরফে আলতু মিয়া (৮০)। বাকি পাঁচজন অজ্ঞাতনামা।
আসামিদের মধ্যে মহি উদ্দিন আহমেদ কেন্দুয়া উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি ও কেন্দুয়া ডিগ্রী কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য।
নেত্রকোণা বিচারিক হাকিম আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আব্দুল্লাহ-আল – হাবিব মামলাটি পরবর্তী আদেশের জন্যে ৭ মার্চ দিন ঠিক করেছেন বলে জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী মো: শহিদুল্লাহ ।
মামলার নথির বরাত দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, আসামিরা স্বাধীনতা বিরোধী সংগঠন শান্তি কমিটি গঠন করে। তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় রাজাকার, আলবদর ও আল শামসবাহিনী গঠন করে নিরীহ মানুষ হত্যা, নারী ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের শুরুর সময় বাংলা ১৩৭৮ সালের ৭ ভাদ্র দুপুরে আসামিরা পাকসেনাদের নিয়ে কেন্দুয়া উপজেলার চিথোলিয়া পাল বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, আশুতোষ পালসহ সাতজনকে গুলি করে হত্যা, গোপালাশ্রম গ্রামের ধর বাড়ি, ডাক্তার বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
এর পাঁচ দিনের মাথায় ১২ ভাদ্র শুক্রবার আসামিরা এলাকার চিকিৎসক খগেন্দ্র বিশ্বাসসহ চারজনকে ধরে ধোপাগাতি গ্রামের জামে মসজিদের সামনে ডোবায় রাজী নদীর নালায় হত্যা করে ফেলে রাখে।
ঘটনার দুইদিনই আসামি ও পাকসেনারা যৌথ অভিযানে বহু মানুষ নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যা করে। তারা অনেক বাড়িতে আগুন দেয়। তাদের অভিযানে বহু মানুষ গুলিতে আহত হয়।
মামলায় আহত হয়ে শরীরে গুলি বহন করে চলা রাশিদা আক্তার নামে এক নারীসহ ৫০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
সারাবাংলা/টিএম