Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নগর নিস্তব্ধ হলেও মুখর গ্রাম


৩১ মার্চ ২০২০ ১২:৩৭

কক্সবাজার: করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সাধারণ ছুটিতে নিস্তব্ধ কক্সবাজার। জনসমাগম ঠেকাতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও মাঠে রয়েছে। প্রচার-প্রচারণার মধ্য দিয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন ঘর থেকে বের না হয়। শহর এলাকার লোকেরা এই ঘোষণা মেনে চললেও দূরবর্তী স্থানে কেউই তা মানছে না।

সরেজমিনে দেখা যায়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জমজমাট পর্যটন নগরী এখন নিস্তব্ধ । গত ৫ দিন ‘ঘরে থাকুন’ বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী, পুলিশ, ডিবিসহ প্রশাসনের অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে রয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে যাত্রীবাহী যান চলাচল। খুব প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। ঘরে থাকতে প্রশাসনের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সচেতন মহল চালাচ্ছে প্রচার-প্রচারণা।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু শহরের বড় বাজার, ফিসারি ঘাট এবং শহর থেকে দূরবর্তী স্থান সমিতি পাড়া, কুতুবদিয়া পাড়া, সদর উপজেলা খুরুশকুলের ছফলদন্ডীসহ বেশ কিছু এলাকার চিত্র ভিন্ন। ওসব এলাকায় জমজমাট রয়েছে লোকজনের সমাগম। সর্তক থাকার পরিবর্তে করোনাভাইরাসের ইস্যুটি তাদের কাছে কৌতুহলের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রীতিমত আড্ডা জমিয়ে দিয়েছেন এই ভাইরাস প্রসঙ্গে।

অনেক চায়ের দোকানেই বসেছে জমজমাট আড্ডা। তাদের বেশিরভাগই ঘরের ভেতর না থেকে বাইরে অবস্থান করছেন মাস্কসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ছাড়া। অবহেলার পাশাপাশি এই ভাইরাস নিয়ে তারা রয়েছে অনেক ভুলের মধ্যেও।

বড় বাজার মাছ বাজারের দ্বিতীয় তলার চায়ের দোকানে নাস্তা করা লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘আমি এই ভাইরাস সর্ম্পকে জানি কিন্তু বাইরে বের না হলে পরিবার না খেয়ে থাকবে। তাই বাজার করতে এসেছি। বাজার শেষে বন্ধুরা মিলে চায়ের দোকানে একটু গল্প করছি। চা শেষ করে চলে যাবো।’

বিজ্ঞাপন

ছফলদন্ডী এলাকায় রাস্তায় আড্ডা দেওয়া জাফর আলম জানান, তিনি মরে গেলেও ঘরে থাকতে পারবেন না। মাস্ক ব্যবহার তার কাছে অসহ্য লাগে। এছাড়াও তিনি নিশ্চিত তাদের এলাকায় করোনাভাইরাস হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নাই। সমুদ্রের লবণাক্ত বাতাসের কারণে করোনাভাইরাস কাছে আসতে পারবে না বলেও জানান তিনি।

শহরের ফিসারি ঘাটের মাছ বিক্রেতা ফয়েজ আহম্মদ জানান, মাছ বিক্রির কাজে তিনি দিনের ১২টা পর্যন্ত ঘরের বাইরে থাকেন। করোনাভাইরাস নিয়ে তিনি সর্তক আছেন কিন্তু পেটের দায়ে ঘরে থাকতে পারছেন না।

জেলা পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত) মো. ইকাবাল হোসেন জানান, প্রশাসনসহ সবার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে ঘরের ভেতর রাখতে। শহরের বেশিরভাগ লোক এই আইন মেনে চললেও সচেতনতার অভাবে গ্রামের লোকেরা তা মানছেন না। তবে প্রশাসনের চেষ্টা অব্যাগত রয়েছে। তাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং কমিউনিটি পুলিশের মাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারণা আরও বাড়ানো হবে।

জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, ওষুধসহ খুব জরুরি ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সেনাবাহিনীসহ মাঠে রয়েছে সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।’ অপ্রয়োজনে কাউকে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

কক্সবাজার করোনাভাইরাস জনসমাগম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর