Tuesday 08 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেশে বিক্রির অনুমোদন না থাকলে কিট রফতানি নয়: চীন


১ এপ্রিল ২০২০ ১৮:০৮ | আপডেট: ২ এপ্রিল ২০২০ ১৬:৫২
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেশের বাজারে বিক্রির অনুমোদন নেই— অথচ বিদেশে রফতানি হচ্ছে এমন করোনাভাইরাস টেস্ট কিট, মাস্কসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম রফতানি নিষিদ্ধ করেছে চীন। এখন থেকে এসব পণ্য বিদেশে বিক্রির আগে চীনের স্থানীয় বাজারে বিক্রির অনুমোদন থাকতে হবে। এতে চীনের চিকিৎসা সরঞ্জাম রফতানির ক্ষেত্রে মান নিয়ন্ত্রণের আরেকটি ধাপ যুক্ত হল। বিভিন্ন দেশে চীনের তৈরি টেস্ট কিট, মাস্কসহ কিছু চিকিৎসা সরঞ্জাম মানহীন বলে অভিযোগ ওঠার পর এমন সিদ্ধান্ত নিল চীন।

চীনের ন্যাশনাল মেডিকেল প্রোডাক্টস এডমিনিস্ট্রেসন (এনএমপিএ) বুধবার (১ এপ্রিল) তাদের এক বার্তায় জানায়, এখন থেকে যেকোন চিকিৎসা সরঞ্জাম দেশের সীমা পার হতে হলে আগে আমাদের কাছ থেকে ছাড়পত্র নেওয়ার প্রয়োজন হবে। উল্লেখ্য, এনএমপিএ চীনে চিকিৎসা সরঞ্জামের মান নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- ভুল ফলাফল দেয় চীনের র‍্যাপিড টেস্টিং কিট— অভিযোগ দেশে দেশে

এর আগে সরকারি ওই প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র ছাড়াই করোনাভাইরাসের টেস্ট কিট, মাস্ক, ভেন্টিলেটরসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম বিক্রি করে আসছিলো চীনের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। স্পেন, মালয়েশিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, তুরস্কসহ কয়েকটি দেশ চীনের র‍্যাপিড টেস্ট কিট ও মাস্ক মানহীন বলে অভিযোগ করে সেসব পণ্য ফিরিয়ে দেওয়ার পর নড়েচড়ে বসে চীন সরকার। এবার চীন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশের বাজারে বিক্রি অনুমোদন না থাকলে বাইরে রফতানি নয়।

আরও পড়ুন- স্পেনে পাঠানো ‘ত্রুটিপূর্ণ’ টেস্টিং কিট পরিবর্তন করে দেবে চীন

এর আগে মার্চের শুরুতে চীন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যুক্তরাজ্য, স্পেন, ইতালিসহ অন্তত ১১টি দেশে চীনের টেস্টিং কিট সরবরাহ করা হয়েছে। তবে গেল সপ্তাহে স্পেনের সোসাইটি অব ইনফেকশাস ডিজিসেস অ্যান্ড ক্লিনিকাল মাইক্রোবায়োলজি তাদের ওয়েবসাইটে জানায়, চীন থেকে আসা নোভেল করোনাভাইরাসের র‍্যাপিড টেস্টিং কিটের ৭০ শতাংশের বেশি ‘ত্রুটিপূর্ণ’। এসব টেস্ট কিট চীনে ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানায় স্পেন।

তবে স্পেনে অবস্থিত চীনের দূতাবাস দাবি করেছে, চীনের অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান থেকে এসব পণ্য ক্রয় করেছে স্পেন। সেসময়, চীনের স্থানীয় কিছু গণমাধ্যমের খবরে র‍্যাপিড টেস্টিং কিটের উৎপাদক প্রতিষ্ঠান শেনজেন বায়োইজি বায়োটেকনলজিকে দায়ী করা হয়। খবরে বলা হয়, এ প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত টেস্টিং কিটগুলো মাত্র ৩০ শতাংশ ক্ষেত্রে সঠিক ফলাফল দিচ্ছে। অর্থাৎ ৭০ শতাংশই ত্রুটিপূর্ণ।

এছাড়াও গেল সপ্তাহে নেদারল্যান্ড জানায়, চীন থেকে কেনা বেশিরভাগ মাস্কই মানহীন। তবে চীনের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য ফিরিয়ে নিয়ে পরিবর্তন করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।

উল্লেখ্য, প্রায় তিন মাস করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পর চীনে এখন ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। এ ভাইরাসটি মোকাবিলায় বিশ্বের অন্যান্য দেশে নানা ধরণের সহায়তা দিচ্ছে চীন। এরইমধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে— এমন কয়েকটি দেশে টেস্ট কিট, মাস্কসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম অনুদান হিসেবে পাঠিয়েছে চীন। এছাড়া তাদের উৎপাদিত টেস্ট কিট, মাস্ক ও ভেন্টিলেটরও বিক্রি করছে কয়েকটি দেশে।

গত শুক্রবার চীন ২৩টি কোম্পানিকে টেস্ট কিট বিক্রয়ের জরুরি অনুমোদন দেয়। গত জানুয়ারিতে এই অনুমোদন ছিল মাত্র চারটি প্রতিষ্ঠানের।

করোনা: লাইভ আপডেট

আরও পড়ুন- কোভিড-১৯ চিকিৎসায় অনুমোদন পাচ্ছে জাপানের ‘অ্যাভিগান’

আবারও বলছি, সবার মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই: ডব্লিউএইচও

আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত খাদ্য ক্রয়ে বৈশ্বিক সংকটের আশঙ্কা

চীন টপ নিউজ ভেন্টিলেটর র‍্যাপিড টেস্টিং কিট