এক মাসে ১৪৫ কোটি ডলারের চিকিৎসা সরঞ্জাম রফতানি করেছে চীন
৫ এপ্রিল ২০২০ ২৩:০৮
মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এ সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ১৪৫ কোটি ডলারের চিকিৎসা সরঞ্জাম রফতানি করেছে চীন। করোনাভাইরাস মহামারির উৎপত্তিস্থল চীনে এখন ভাইরাসটির প্রকোপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে বাকি বিশ্বে ভাইরাসটির সংক্রমণ বেড়েই চলছে। ফলে গত এক মাসে বিশ্বের অন্যান্য দেশে চীনের চিকিৎসা সরঞ্জাম রফতানির ব্যাপক উল্লস্ফন দেখা গেছে।
রোববার (৫ এপ্রিল) চীনের কাস্টমস বিভাগের এক সংবাদ সম্মেলনের উল্লেখ্য করে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানায়, গত ১ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ চীন থেকে চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানি করেছে। এক মাসে কয়েকশ কোটি মাস্ক, কয়েক লাখ প্রটেকশন স্যুট ও ইনফারেড টেম্পারেচার ডিটেক্টর কিনেছে এসব দেশ। এছাড়া এই সময়ে প্রায় ১৬ হাজার ইউনিট ভেন্টিলেটর দেশের বাইরে বিক্রি করেছে চীন। এসব পণ্যের মোট মূল্য প্রায় ১৪৫ কোটি মার্কিন ডলার।
এদিকে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের বাইরে চিকিৎসা সরঞ্জাম বিক্রির হার গত একমাসে বেড়ে গিয়েছে। ফলে আমদানি রফতানির ওপর নানা ধরণের নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও এসব পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে কোন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা নেই বেইজিংয়ের। উল্লেখ্য, শনিবার পর্যন্ত ৫৪টি দেশ ও ৩টি আন্তর্জাতিক সংস্থা চীন থেকে চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানির জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি নিউজ তাদের এক খবরে এমনটা প্রকাশ করে।
In total 10.2b yuan($1.45 billion)of medical supplies have been exported from #China to overseas markets since March 1 amid the global fight against the #COVID19 pandemic, an official from the General Administration of Customs told a press conference Sunday. pic.twitter.com/YgPicpVAwa
— Global Times (@globaltimesnews) April 5, 2020
তবে এরইমধ্যে স্পেন, নেদারল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ চীনের কিছু পণ্য নিয়ে তাদের অভিযোগও জানিয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় মান নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে চীন।
উল্লেখ্য গত বছরের শেষ নাগাদ চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। এর পরপরই ভাইরাসটির সংক্রমণ বাড়তে থাকে। সেসময় চীনের হুবেই প্রদেশের সঙ্গে সব ধরণের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় চীন। এছাড়া ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চীনে কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উৎপাদন খাতে ধাক্কা লাগে। তবে মার্চের মাঝামাঝি নাগাদ চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে আসে। খবর আরটি।