করোনায় আক্রান্তের সংখ্যায় ইতালি-স্পেনকেও ছাড়িয়ে গেল নিউইয়র্ক
১০ এপ্রিল ২০২০ ১১:২৫
চীন থেকে শুরু। এরপর ইরান হয়ে ইতালি। গুণোত্তর ধারায় বাড়তে থাকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। একসময় ইতালি ছাড়িয়ে যায় চীনকে। পরে স্পেন এসে ছাড়িয়ে যায় ইতালিকেও। এসব দেশের তুলনায় অনেক পরে সংক্রমণ শুরু হলেও যুক্তরাষ্ট্র সবাইকে টপকে যায় দ্রুতগতিতে। সবশেষ তথ্য বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের কেবল নিউইয়র্কেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে গেছে ১ লাখ ৫৯ হাজার। সেই হিসাবে বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় এখন নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি!
নিউ ইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) পর্যন্ত পাওয়া তথ্য বলছে, নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা আগের ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে ১০ হাজারেরও বেশি। তাতে করে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৫৯ হাজার ৯৩৭ জনে। এত বেশি মানুষ বিশ্বের অন্য কোনো দেশে আক্রান্ত হননি করোনাভাইরাসে।
শুক্রবার সকালের তথ্য বলছে, ইতালিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৪৩ হাজার ৬২৬ জন। স্পেনে এই সংখ্যা আরও প্রায় ১০ হাজার বেশি— এক লাখ ৫৩ হাজার ২২২ জন। সেই হিসাবে স্পেনের চেয়েও নিউইয়র্কে ৬ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এই ভাইরাসে। আর প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে মোট আক্রান্তের সংখ্যা চার লাখ ৬৮ হাজার ৮৯৫।
কেবল আক্রান্তের সংখ্যায় নয়, মৃতের সংখ্যাতেও নিউইয়র্ক এগিয়ে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মোট ১৬ হাজার ৬৯৭ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে সাত হাজার ৬৭ জন কেবল নিউইয়র্কেরই। দেশ হিসেবে ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স আর যুক্তরাজ্যই কেবল করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যায় এগিয়ে নিউইয়র্কের তুলনায়।
করেনা সংকটের এই সময়ে বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক সিটি মেয়র বিল ডে ব্লাসিও স্থানীয় সিটি হলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ছয় মাস আগেও এই রোগটি সম্পর্কে কেউই কিছু জানত না। এমনকি এই রোগের কোনো অস্তিত্বই ছিল না। অথচ এত বাজেভাবে এই রোগটি এসে হামলে পড়েছে, যার কোনো নজির আগে ছিল না। তবে আমাদের হেরে গেলে চলবে না। আমাদের এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। তার সব সক্ষমতাও আমাদের রয়েছে।
করোনাভাইরাস করোনায় আক্রান্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে পলাতক নিউইয়র্ক সব দেশের চেয়ে বেশি