স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস শুরু করতে যাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
৩ মে ২০২০ ১৬:২৮
ঢাকা: করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন কলেজগুলোকে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নিতে আহবান জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ফলে লকডাউন চলাকালীন শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে অধিভুক্ত প্রায় ২ হাজার ২৬০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নতুন নির্দেশনায় বলেন, যে সব কলেজের অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে তারা জরুরি ভিত্তিতে অন-লাইন ক্লাস চালু করবে। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন-লাইন ক্লাস সুবিধা নেই, তাদেরকেও দ্রুত এই সুবিধার আওতায় আসতে হবে।
এক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি মোবাইল অ্যাপস কিংবা জুম সফটওয়্যার ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অন-লাইন ক্লাসে যুক্ত হওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে রাজশাহী কলেজসহ বেশ কয়েকটি কলেজ বা প্রফেশনাল প্রতিষ্ঠান অন-লাইন ক্লাস আরম্ভ করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, করোনা ছড়িয়ে পড়ার আগে পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ সমূহে কোনো সেশনজট ছিল না। সেই ধারাবাহিকতা বহাল রাখতে লকডাউন শেষে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিটি শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ঘরে বসে পরীক্ষার যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হচ্ছে। এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠার পর আমরা যেন একের পর এক পরীক্ষা নিতে পারি তার সকল প্রস্তুতি কলেজ ও শিক্ষার্থীদের থাকতে হবে। এক্ষেত্রে সেশনজট নিরসনে আগে যেমন আমরা ক্রাশ প্রোগ্রাম করে সফল হয়েছি। সেই রকম মেথড এখানেও এপ্লাই করতে হবে।
হারুন অর রশিদ বলেন, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সিংহভাগ কারিকুলাম শিক্ষার্থীকে তার নিজ উদ্যোগেই সম্পন্ন করতে হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও অনলাইন কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। ছুটি দীর্ঘায়িত হলে নতুন করে সেশনজটে না পড়তে পরীক্ষা ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যে শিক্ষকদের কাজ করে যেতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনলাইনে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাববুব হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।