দিদারুল-মিনহাজ কারাগারে, রিমান্ড শুনানি সাধারণ ছুটির পর
৭ মে ২০২০ ১৬:১৫
ঢাকা: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার ‘রাষ্ট্রচিন্তা’র সংগঠক দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের রিমান্ডে নিতে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনও নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মে) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ আদেশ দেন। এসময় আদালত জানান, সাধারণ ছুটির পরে তাদের রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জামশেদুল ইসলাম আসামিদের আদালতে হাজির করেন। তিনি মামলার তদন্তের স্বার্থে তাদের সাত দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন ফেসবুক পেজ ও ফেসবুক আইডি থেকে করোনাভাইরাস, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান ও বাহিনী সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে আসছে। রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ন করে— এমন অপপ্রচারসহ মন্ত্রী ও সরকার দলীয় বিভিন্ন নেতার কার্টুন নিয়ে গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। আসামিরা স্বীকার করেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর জন্য তারা এসব অপপ্রচার চালিয়েছেন।
মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারসহ প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড প্রয়োজন বলে আবেদনে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এদিকে, আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। তবে পূর্ণাঙ্গ কেস ডকেট (সিডি) না থাকায় আদালত আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, আদালতের সাধারণ ছুটি শেষ হলে রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হবে বলে।
বুধবার (৬ মে) রাতে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে ডিএসই পরিচালক ও বিএলআই সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এর আগে, মঙ্গলবার (৫ মে) রাতে ‘রাষ্ট্রচিন্তা’র সংগঠন দিদারুলকে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ তার পরিবারের। পরে বুধবার তাকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেফতার দেখায় র্যাব।
এদিকে, বুধবার (৬ মে) ওই একই মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও লেখক মুশতাক আহমেদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন ঢাকার সিএমএম আদালত। মঙ্গলবার (৫ মে) রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে কিশোর ও লালমাটিয়া এলাকা থেকে মুশতাককে আটক করে র্যাব।
মামলার এজাহারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধকে অসম্মান, করোনাভাইরাস সম্পর্কে গুজব প্রচার ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে ১১ জনকে।
কবীর কিশোর, মুশতাক আহমেদ, দিদার ভূঁইয়া ও মিনহাজ মান্নান ইমন ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন— প্রবাসী সাংবাদিক তাসনিম খলিল, শায়ের জুলকারনাইন, আশিক ইমরান, ফিলিপ সমাচার, স্বপন ওয়াহিদ, শাহেদ আলম, ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন। অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকেও আসামি করা হয়েছে।
কার্টুনিস্ট কিশোর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া দিদারুল ভূঁইয়া মিনহাজ মান্নান ইমন লেখক মুশতাক