একদিনে পানিতে ডুবে তিন জেলায় ৪ প্রাণহানি
১৩ মে ২০২০ ০৪:৫৯
মঙ্গলবার পানিতে ডুবে দেশের তিন জেলায় দুই বোনসহ ৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে এসব ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পুকুরের পানিতে ডুবে সুমাইয়া আক্তার (৬) ও সামিয়া আক্তার (১০) নামে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পৌর এলাকার পানাইয়ারপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত দুই বোন ওই গ্রামের বাবুল মিয়ার মেয়ে ।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দুপুরে বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে যায় দুই বোন। গোসল করার সময় হঠাৎ করে বড় বোন সামিয়া পানিতে পড়ে যায়। বড় বোনকে ধরতে গিয়ে ছোট বোন সুমাইয়াও পানিতে পড়ে। এসময় দুই বোনই পানিতে তলিয়ে যায়। পাশে থাকা অপর একটি মেয়ে গিয়ে দুই বোনের পানিতে পড়ে যাওয়ার খবর পরিবারে লোকজনকে জানায়। পরে তাদের পানির নিচ থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই বোনকে মৃত ঘোষণা করেন।
কসবার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি লোকমান হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুই বোনের মৃত্যুতে পুরো গ্রামের শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নওগাঁ
নওগাঁর সাপাহারে পুকুরের পানিতে ডুবে ইমামুল হাসান নামের দেড় বছর বয়সের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটে। নিহত শিশু উপজেলার তাজপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে।
সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাই বলেন, শিশুটি বাসার পাসেই খেলছিলো। এসময় সবার অজান্তে বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে ডুবে যায় শিশু ইমামুল হাসান। পরে পরিবারের লোকজন শিশুটিকে খুঁজতে থাকে। এসময় স্থানীয় লোকজন শিশুটিকে পুকুরে ভাসতে দেখে বাড়ির লোকজনকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমামুল হাসানকে মৃত ঘোষণা করেন।
চুয়াডাঙ্গা
এদিকে চুয়াডাঙ্গায় পুকুরে ডুবে এক কাঁচামাল ব্যবসায়ী মারা গেছেন। মঙ্গলবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিহি গ্রামে মরহুম সাধু জোয়ার্দ্দারের ছেলে হায়দার জোয়ার্দ্দার (৪০) বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে গেলে তিনি সেখানে ডুবে মারা যান।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান স্থানীয় এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জানান, বাড়ি থেকে গোসল করতে বের হয়ে অনেকক্ষণ বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এক পর্যায়ে দেখা যায় পুকুরে তার লাশ ভাসছে। মৃত ব্যক্তির বাড়ির সদস্যদের কোন অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।