Thursday 12 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির নতুন তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ


১৪ মে ২০২০ ০২:৪৭ | আপডেট: ১৪ মে ২০২০ ০২:৫৮
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফাইল ছবি

ঢাকা: দেশের প্রকৃত অসহায়-দরিদ্ররা যাতে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর সুবিধা পায় তা নিশ্চিত করতে আগের তালিকা বাতিল করে নতুন তালিকা প্রস্তুতের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে আগের তালিকা তৈরি করা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সরিয়ে এই নতুন তালিকা তৈরি করতে হবে।

বুধবার ( ১৩ মে) রাজধানীর মিন্টো রোডে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে ঢাকা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী তালিকায় থাকা সুবিধাভোগীদের নিয়ে কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেজন্য প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অতি দ্রুত যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত গরীব ও দুস্থদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নতুন করে তালিকা তৈরি করার।

বিজ্ঞাপন

ভিডিও কনফারেন্সে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মন্ত্রী বলেন, যেকোনো প্রকার হুমকি-ধমকিকে ভয় না করে; স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে ওঠে প্রকৃত গরিব ও দুস্থদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে প্রতিটি উপজেলায় অতীতে তালিকা তৈরি করার সময়ে যে ট্যাগ অফিসার ছিলেন তাদেরকে সরিয়ে নতুন করে কোনও ট্যাগ অফিসারকে দায়িত্ব দিতে হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৬ সালে খাদ্য অধিদপ্তর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করেছিল। এ কর্মসূচির আওতায় সারাদেশে বছরে পাঁচ মাস ( মার্চ, এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর) ৫০ লাখ পরিবারকে প্রতিমাসে ৩০ কেজি চাল প্রতি কেজি ১০ টাকা দরে প্রদান করা হয়ে থাকে।

ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার করোনা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারীভাবে ধান চাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ধান-চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রতিটি উপজেলায় সংগ্রহ কমিটি রয়েছে। সংগ্রহ কমিটিকে প্রতিটি ইউনিয়নে যেয়ে কৃষকের উপস্থিতিতে লটারি করতে হবে। কৃষকের নামের লটারি করার পর উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত কৃষকদের বাড়িতে যেয়ে তাদের ধানের আদ্রতা পরিমাপ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। এছাড়া দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে খাদ্যশস্যের আদ্রতা মাপার যন্ত্র সরবরাহ করার বিষয়টির উপরও তিনি গুরুত্ব দেন মন্ত্রী।

ঢাকা বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে; তাদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার জন্য ধান-চাল কেনার ক্ষেত্রে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং কৃষক যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর