Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জীবিত স্বামীকে মৃত দেখিয়ে ৩ বছর ধরে বিধবা ভাতা উত্তোলন


১৭ মে ২০২০ ২০:০৫

সিরাজগঞ্জ: জেলার সয়দাবাদে জীবিত স্বামীকে মৃত দেখিয়ে তিন বছর ধরে বিধবা ভাতা উত্তোলন করা হচ্ছে। চেয়ারম্যান নবিদুল ইসলাম ও সংরক্ষিত নারী সদস্য সীমা রানী টাকার বিনিময়ে বিধবা ভাতার তালিকায় নামটি অন্তর্ভূক্ত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (১৭ মে) দুপুরে সরেজমিনে উপকারভোগী সয়দাবাদ ইউনিয়নের পোড়াবাড়ী গ্রামের সুজিত সূত্রধরের স্ত্রী মায়া রানীর সাথে কথা বললে এসব তথ্য উঠে আসে।

মায়া রানী জানান, ২০১৭ সালে সয়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য সীমা রানী ৪ হাজার টাকার বিনিময়ে বিধবা ভাতার তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভূক্ত করেছেন। তার কার্ড নং-১৪। ওই কার্ডের মাধ্যমে প্রায় ৩ বছর ধরে মোট ১০ বার ১ হাজার ৫০০ টাকা করে উত্তোলন করেছেন তিনি। তবে কিছুদিন আগে কার্ডটি তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন চেয়ারম্যান নবিদুল ইসলাম।

সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা নারীরাই বিধবাভাতার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। স্বামী জীবিত থাকা নারীরা এ তালিকার আওতায় আসতে পারবে না। মায়া রানীর ভাতা কার্ডে স্বামী সুজিত সূত্রধরকে মৃত দেখানো হয়েছে।
তবে বিধবা ভাতার তালিকা তৈরিতে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ইউপি সদস্য সীমা রানী। তিনি বলেন, ‘ভাতার বিষয়টি সম্পূর্ণ চেয়ারম্যান দেখভাল করেন। মায়া রানীকে আমি ভাতা কার্ড দেইনি, টাকাও নেইনি।’

এ বিষয়ে সয়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নবীদুল ইসলামের কোনো বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তাকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, ‘মায়া রানীর নাম ২০১৭ সালে বিধবা ভাতার তালিকাভুক্ত হয়েছেন। তার স্বামী বেঁচে আছে কিনা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।’

বিজ্ঞাপন

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকার অসীম কুমার জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এরকম কিছু হলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চেয়ারম্যান জীবিত স্বামীকে মৃত বিধবা ভাতা সংরক্ষিত নারী সদস্য

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর