‘প্লাজমা থেরাপির সুফল সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে নীতিমালা প্রয়োজন’

ঢাকা: প্লাজমা থেরাপির সুফল সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও প্লাজমা থেরাপি সাব কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ খান।

মঙ্গলবার (২ জুন) একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘ন্যাশনাল এক্সপান্টেড এক্সেস প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্লাজমা থেরাপির সুফল বা এর কার্যক্রম সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে পারি। এর জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরকে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

‘এই পরিকল্পনার মাধ্যমে ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগ প্লাজমা সংগ্রহ করবে। তারা এসোপি তৈরি করবে এবং এসোপির মাধ্যমে কাদের থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে, কতখানি প্লাজমা কিভাবে সংগ্রহ করা হবে, কি পরিমানে প্রয়োগ করা হবে, এগুলো লিপিবদ্ধ থাকবে। প্লাজমা প্রয়োগ করার পূর্বে অবশ্যই এন্টিবডি টাইটার করতে হবে। কেননা এই প্লাজম দেওয়ার জন্য এফডিএ একটি অ্যাপ্রোভাল দিয়েছে, সেটা হলো আইএনডি অর্থাৎ ইনভেস্টিগেশনাল নিউ ড্রাগস হিসেবে’, বলেন এই চিকিৎসক।

প্লাজমা থেরাপি সাব কমিটির প্রধান ডা. খান বলেন, ‘এই পরিকল্পনার মাধ্যমে যদি আমরা প্লাজমা ডিসট্রিবিউশন করি তাহলে একটা তালিকা থাকবে। কাদের প্লাজমা দেওয়া হচ্ছে, এবং কি পরিমান সুফল পাওয়া যাচ্ছে, সেই ডাটাগুলোর সংরক্ষণ থাকবে। করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীর কাছ থেকে যেই প্লাজমা নেওয়া হয়, তার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ এন্টিবডি থাকে। যা করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে গিয়ে ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করে ভাইরাসটিকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। তখন ভাইরাসটা আর কোষের মধ্যে ঢুকতে পারে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেখা গেছে যদি কোনো করোনা রোগী আক্রান্ত হওয়ার প্রথম সপ্তাহের মধ্যে আমরা এই প্লাজমা থেরাপি দিতে পারি তাহলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। আর করোনা রোগী যখন আইসিইউতে চলে যায় অথবা যখন ভেন্টিলিটরে থাকে তখন তার লাংস ড্যামেজ হয়ে যায়। তখনই প্লাজমা থেরাপি দিলে কাংখিত ফল নাও পাওয়া যেতে পারে। এজন্য প্লাজমা থেরাপির জন্য টাইমিংটা অনেক বেশি প্রয়োজন। কখন দিবো, কাকে দেবো এটি খুব প্রয়োজনীয় বিষয়।

কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় নির্দিষ্ট ভ্যাকসিন অথবা ওষুধ না থাকায় রোগীদের প্লাজমা থেরাপি নেওয়ার আগ্রহ বেড়ে চলেছে জানিয়ে ডা. খান বলেন, ‘সে অনুপাতে আমরা কাঙ্ক্ষিত ডোনার পাচ্ছি না। তাই আমি আহ্বান করবো যারা করোনাজয়ী হয়েছেন তারা যেন প্লাজমা ডোনেট করেন। কারণ আপনার থেকে নেওয়া প্লাজমা দুই জন কিংবা তিন জনকে দেওয়া হবে।’ যারা প্লাজমা ডোনেট করবেন তাদের কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই, তার শরীরে অ্যান্টিবডি কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।

টপ নিউজ নীতিমালা প্লাজমা প্লাজমা থেরাপি