Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনা মোকাবিলায় ‘শেকড়’ কৃষিতে ফেরার লক্ষ্য অর্থমন্ত্রীর


১২ জুন ২০২০ ১৫:৫৮

ফাইল ছবি

ঢাকা: কৃষিকে মানব সভ্যতার ‘শেকড়’ বলে অভিহিত করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আর সে কারণেই করোনাভাইরাসের অভিঘাত মোকাবিলায় কৃষিতেই ফিরতে চাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, কৃষির কারণে সভ্যতা এগিয়েছে। আমরাও কৃষি সভ্যতার ওপর নির্ভর করে এগিয়ে যেতে চাই। করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যসেবার পরই তাই গুরুত্ব পাবে কৃষি। সেটি আমাদের শেকড়। কৃষিকে এমনভাবে সাজাবো যেন কৃষির ওপর নির্ভর করে অর্থনীতিতে আলোকিত করতে পারি। আমাদের অর্জনকে আরও গভীর করতে পারি।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- ‘মানুষকে বাঁচাতে আয়ের অপেক্ষা না করেই খরচের হিসাব করেছি’

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার (১২ জুন) বিকেলে অনলােইনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে কোনো বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন এই প্রথম। সংবাদ সম্মেলনে অনলাইনেই অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্ত হন একাধিক মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর দু’জন উপদেষ্টা, অর্থসচিবসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা।

বাজেট প্রণয়নে কৃষিতে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, সত্তরের দশকে দেশে চালের উৎপাদন ছিল ১০ লাখ মেট্রিক টন। এখন সে উৎপাদন ৫ ‍গুণ বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সবােই শেকড়ের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ো। ৫ হাজার বছর আগে থেকে আমাদের যে সভ্যতা, আমাদের এগিয়ে যাওয়াযার মাধমে আমরা এগিয়েছি, সেটি হলো কৃষি। কৃষির হাত ধরেই টাইগ্রিস নদীর এপার-ওপার ধরে, নীল নদীর এপার ওপার ধরে সভ্যতা এগিয়েছে।

আরও পড়ুন- বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারব: অর্থমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

তিনি আর বলেন, সভ্যতা এগিয়ে যাওয়ার কারণ হলো কৃষি। তাই করোনাভাইরাসের যে অভিঘাত, এটি মোকাবিলাতেও স্বাস্থ্যসেবার পরই ‍গুরুত্ব পাবে কৃষি। এই কৃষিই আমাদের শেকড়। কৃষিকে এমনভাবে সাজাব, যেন কৃষির ওপর ভিত্তি করে অর্থনীতিকে আলোকিত করতে পারি, আমাদের অর্জন আরও গভীর করতে পারি।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। ২০২০-২১ অর্থবছরের এই বাজেটে এনবিআর থেকে আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআরের কর বহির্ভূত রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। অন্যান্য খাত থেকে আয় ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির ৬ শতাংশ। বাজেটে মোট জিডিপি’র আকার ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন- বাংলাদেশকে ‘গরিব দেশ’ বলায় চটলেন অর্থমন্ত্রী

এই বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য কি নাবিভিন্ন মহল থেকে এমন প্রশ্ন উঠলেও বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের যে মূল্যস্ফীতি, সেটি প্রজেকশন অনুযায়ীই ছিল। বিনিয়োগও জিডিপি’র অনুপাতে ছিল। পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সঙ্গে মিল রেখে যে প্রাক্কলন করেছি, সে অনুযায়ী আমাদের অর্থনৈতিক অর্জন হয়েছে। আশা করি এই বাজেটও বাস্তবায়ন করতে পারব। এর জন্য সবার সহযোগিতা চাই।

প্রথমবারের মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী ছাড়াও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ ‍উপদেষ্টা মশিউর রহমান, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদারসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিকরা অংশ নেন।

অর্থবছর অর্থমন্ত্রী কৃষিখাত টপ নিউজ বাজেট

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর