চীন-ভারত দ্বৈরথ: শুক্রবার সর্বদলীয় সভা ডেকেছেন মোদি
১৮ জুন ২০২০ ০১:২৭
ভারতের কেন্দ্র শাসিত লাদাখের পূর্বাঞ্চলীয় গালওয়ান উপত্যকার লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোলকে (এলএসি) ঘিরে ভারত ও চীনের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা, সংঘর্ষ ও প্রাণহানিকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শুক্রবার (১৯ জুন) স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় সর্বদলীয় সভা’র ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এক সংবাদ বিবৃতির বরাতে এ খবর জানিয়েছে বার্তাসংস্থা পিটিআই।
এদিকে বার্তাসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এই সর্বদলীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কেন্দ্রের শীর্ষ মন্ত্রীদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজানাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এবং সেনাপ্রধান এম.এম. নার্ভানে উপস্থিত ছিলেন।
In order to discuss the situation in the India-China border areas, Prime Minister @narendramodi has called for an all-party meeting at 5 PM on 19th June. Presidents of various political parties would take part in this virtual meeting.
— PMO India (@PMOIndia) June 17, 2020
এর আগে, লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে অসমর্থিত অনেকগুলো সূত্র বিভিন্ন খবর জানানোর পর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস (আইএনসি) নেতা রাহুল গান্ধী ওই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী’র নীরব কেন – এ প্রশ্ন তোলেন এবং পাশাপাশি চীন কীভাবে ভারতের ভূ-খন্ডে ঢুকে ভারতীয় সৈন্য হত্যার সাহস পায় – তা জানতে চান।
Why is the PM silent?
Why is he hiding?Enough is enough. We need to know what has happened.
How dare China kill our soldiers?
How dare they take our land?— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) June 17, 2020
টুইটারে ওই বার্তা প্রকাশিত হওয়ার পর, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক কর্ণেলসহ তিন সদস্যের মৃত্যুর ব্যাপারে বিবৃতি দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় আরেক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার রাতের ওই ঘটনায় মোট ২০ জন ভারতীয় সেনাসদস্যের মৃত্যুর ব্যাপারে জানানো হয় এবং ভারতীয় গণমাধ্যম ওই মরদেহগুলোর ছবিও দেখাতে সক্ষম হয়।
The loss of soldiers in Galwan is deeply disturbing and painful. Our soldiers displayed exemplary courage and valour in the line of duty and sacrificed their lives in the highest traditions of the Indian Army.
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) June 17, 2020
অন্যদিকে, ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল গালওয়ান উপত্যকার সহিংস সংঘর্ষে চীনেরও ৪৩ সেনাসদস্যের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, চীনের সরকারি কোনো সূত্র ঐ খবর নিশ্চিত করেনি। তবে, ভারতীয় কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুসারে, গালওয়ান উপত্যকায় চীনের ৩৫ সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পিটিআই।
প্রসঙ্গত, ষাটের দশকের পর পরমাণু শক্তিধর চীন ও ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যে আর কোনো যুদ্ধের ইতিহাস নেই। ১৯৭৫ সালে অরুণাচল প্রদেশে চীন-ভারত সেনা সংঘর্ষে চার ভারতীয় সেনা প্রাণ হারায়। ৪৫ বছর পর সোমবার (১৫ জুন) রাতে গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের এমন এক সংঘর্ষ ঘটলো, যেখানে উভয়পক্ষে অর্ধশতাধিকের বেশি প্রাণহানি হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন –
লাদাখে সংঘর্ষ, যা জানা প্রয়োজন
লাদাখে সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত: এএনআই
‘এক তরফা পদক্ষেপ’ না নিতে ভারতকে চীনের হুশিয়ারি
চীন সীমান্তে সংঘর্ষ, ৩ ভারতীয় সেনার মৃত্যু
ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস (আইএনসি) গালওয়ান উপত্যকা চীন নরেন্দ্র মোদি ভারত রাহুল গান্ধী লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) লাদাখ সর্বদলীয় সভা