কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ২ হাজার ১২৫ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
২১ জুন ২০২০ ২২:৩০
ঢাকা: পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ, ব্যবসার পরিবেশের আধুনিকায়ন, কর্মীদের সুরক্ষা ও সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশকে আরও ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ১২৫ কোটি টাকা (১ ডলার ৮৫ টাকা ধরে)।
রোববার (২১ জুন) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং বাংলাদেশে বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেমবনের মধ্যে বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ এই ঋণ শোধ করতে ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ৩০ বছর সময় পাবে। এ ঋণের অপরিশোধিত অর্থের ওপর বার্ষিক ১.২৫ শতাংশ হারে সুদ এবং ০.৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, সরকার দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যাপ্ত ও মানসম্পন্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ ও পরিবেশ তৈরিসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার সংশ্লিষ্টতায় সহায়ক কিছু নীতিকৌশল/বিধিবিধান সংস্কার ও আধুনিকায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সরকারের এই উদ্যোগ ও প্রস্তাবিত সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়নকল্পে বিশ্বব্যাংক ২০১৮-১৯ থেকে গত ৩ অর্থবছরে মোট ৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট (ডিপিসি) ঋণ সহায়তা দিয়ে আসছে।
এর আগে ডিপিসি’র অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাংক ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ডেপিসি-২ এর আওতায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে আরও ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে।
জব ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিটের আওতায় বিদ্যমান কতিপয় আইন-বিধি সংশোধন ও হালনাগাদকরণসহ Business Process Reengineering করা হবে। এর মাধ্যমে ডুয়িং বিজনেস সূচকে বাংলাদেশের অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে। পাশাপাশি নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণ সহজতর হবে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
উল্লেখ্য, ডিপিসি-২ এর আওতায় ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আগামী অর্থবছরে ছাড়ের জন্য নির্ধারিত ছিল। তবে কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে বিশ্বব্যাংক চলতি অর্থবছরেই এ অর্থ দিতে সম্মত হয়েছে।