Monday 02 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সমুদ্রতলদেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চাইল বাংলাদেশ


২৭ জুন ২০২০ ১৯:৪২ | আপডেট: ২৮ জুন ২০২০ ০০:১০
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: সমুদ্র সম্পদ বা ব্লু-ইকোনমির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিজস্ব সমুদ্র সীমার বাইরে বৈশ্বিক সমুদ্রসম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে ন্যায়সঙ্গত অংশীদারিত্ব নিশ্চিতের ক্ষেত্রে সমুদ্র-তলদেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষ বা আইএস-এর সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ।

শনিবার (২৭ জুন) নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশন থেকে পাঠানো এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।

বার্তায় বলা হয়, ‘সমুদ্রতলের সম্পদে টেকসই উন্নয়ন ঘটিয়ে প্রাপ্ত সুবিধার ন্যায়সঙ্গত বণ্টান: স্বল্পোন্নত, ভূ-বেষ্টিত স্বল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপ-রাষ্ট্রসমূহের সুযোগ’ শীর্ষক এক ব্রিফিং গত ২৫ জুন জাতিসংঘে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণের জন্য আয়োজন করা হয়। জাতিসংঘের সমুদ্র-তলদেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষ বা আইএসএ এবং স্বল্পোন্নত, ভূ-বেষ্টিত স্বল্পোন্নত ও ক্ষুদ্র দ্বীপ-রাষ্ট্রসমূহের জোটের সভাপতিরা এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

ওই ব্রিফিংয়ে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সুনীল অর্থনীতি বা ব্লু-ইকোনমির সম্ভাবনাসমূহ পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে নিজস্ব সমুদ্র সীমার বাইরে বৈশ্বিক সমুদ্র-সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে ন্যায়সঙ্গত অংশীদারিত্বের কথা তুলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

উচ্চ পর্যায়ের ওই ব্রিফিংয়ে গভীর সমুদ্রে খনন নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক আইনগত কাঠামোর উন্নয়ন, খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের জন্য চুক্তিবদ্ধকরণ এবং বিশেষ করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে স্বল্পোন্নত, ভূ-বেষ্টিত স্বল্পোন্নত ও ক্ষুদ্র দ্বীপ-রাষ্ট্রসমূহের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে পারে এমন সক্ষমতা বিনির্মাণে আইএসএ যে পদক্ষেপসমূহ বাস্তবায়ন করেছে তা সদস্য দেশসমূহের সামনে তুলে ধরেন আন্তর্জাতিক সমুদ্রতলদেশ কর্তৃপক্ষের সেক্রেটারি-জেনারেল মাইকেল ডব্লিউ লজসহ ব্রিফটির অন্য বিশেষজ্ঞরা।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ‘বাংলাদেশ সমুদ্র সম্পদের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে আর সুনীল অর্থনীতি এক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। সক্ষমতা বিনির্মাণ, জ্ঞান বিনিময়, বিশেষ করে প্রশিক্ষণ, বিকল্প কারিগরি কর্মী তৈরি, গবেষণা ও অধ্যয়নের সুযোগ সৃষ্টিসহ এ বিষয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলো যাতে সহযোগিতা পায় তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।
এছাড়া উন্নয়নশীল দেশগুলো যাতে সমুদ্র-সম্পদ আহরণ করে তাদের কাজে লাগাতে পারে সে লক্ষ্যে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। স্থায়ী প্রতিনিধি আইএসএর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

উন্নয়ন সমুদ্র সম্পদ সম্ভাবনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর