মতিঝিল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে অভিযান, ভুয়া ডাক্তার গ্রেফতার

ঢাকা: বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালেও থেমে নেই জালিয়াতি। এবার খোদ রাজধানীর সুপরিচিত মতিঝিল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভুয়া চিকিৎসকের সন্ধান পেয়েছে পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

রোববার (২৮ জুন) দুপুর সোয়া ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হাসপাতালটিতে ভুয়া চিকিৎসকের তৎপরতা এবং হাসপাতালে নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় র‌্যাব-৩ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে নেতৃত্ব দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।

অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, ‘করোনার সময় হাসপাতালগুলোতে বিভিন্ন অনিয়মের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সবার জীবন যখন এমনিতেই ঝুঁকির মুখে তখন ভুয়া চিকিৎসকের অপতৎপরতা নজরদারি করছে গোয়েন্দা সদস্যরা। ভুয়া চিকিৎসক থাকাসহ বেশকিছু অভিযোগের ভিত্তিতে মতিঝিলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ভুয়া চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর তাকে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালটির ফার্মেসিতে অনুমোদনহীন ওষুধ থাকায় দুজনকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।’

র‌্যাব জানায়, মতিঝিল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের মিজানুর রহমান (৫০) নামে একজন ডাক্তার ১২ বছর ধরে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। তিনি ইউনানির সাময়িক অনুমোদন নিয়েই দিয়ে আসছিলেন অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা। কিন্তু ইউনানি নীতিমালা অনুযায়ী এটা করা যায় না। এছাড়াও তিনি প্রেসকিপশনে নিজেকে ডাক্তার হিসেবে উল্লেখ করে আসছিলেন। শুধু তাই নয় হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, এমফিল ডিগ্রির বিষয়ও তুলে ধরছিলেন। ইউনানি চিকিৎসক হয়েও অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ ও বিভিন্ন রোগের জন্য পরীক্ষা দিয়ে আসছিলেন তিনি। এ জন্য তাকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া হাসপাতালের অ্যাসিসটেন্ট সুপারভাইজার মো. হাসিনুর রহমানকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এর বাইরে ইসালামী ব্যাংক হাসপাতালের ফার্মেসিতে অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত ইনজেকশন (টিএআর) সার্জিক্যাল আইটেম এবং ওষুধ রাখার দায়ে মো. শফিউল ইসলাম ও আব্দুল জলিল নামে দুজনের প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অভিযান ইসলামি ব্যাংক হাসপাতাল গ্রেফতার ভুয়া ডাক্তার মতিঝিল র‍্যাব