মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন ৮ নভেম্বর
১ জুলাই ২০২০ ২৩:৩৯
মিয়ানমারের ইউনিয়ন ইলেকশন কমিশন (ইউইসি) দেশটির সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ৮ নভেম্বর নির্ধারণ করেছে। খবর রয়টার্স।
মিয়ানমারের ইউইসি চেয়ারম্যানের বরাতে বুধবার (১ জুলাই) দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলেও এ খবর প্রচার করা হয়েছে।
এর আগে, বহু বছর পর ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিক উপায়ে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসেন দেশটির গণতন্ত্রপন্থি, নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী নেত্রী অং সান সু চি।
মিয়ানমারের রাজনীতিতে কমছে না সেনা আধিপত্য
রাখাইনে ফের সেনা-আতঙ্ক, ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ
সু চি’র বিজয়ের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারে কয়েক দশকের জান্তা শাসনের অবসান ঘটে এবং দীর্ঘ প্রতীক্ষিত গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়।
এদিকে, মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক সরকার যাত্রা শুরু করার পর, গণতান্ত্রিক সংস্কারের পথে নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনকে এক ‘গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা’ হিসাবে দেখছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
‘মিয়ানমারে ফের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়াচ্ছে সেনাবাহিনী’
যদিও, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের মুখে ১১ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম মিয়ানমার থেকে পালিয়ে সীমান্ত সংলগ্ন বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় আশ্রয় নেয়। ওই ঘটনায় সু চির প্রশাসন বিশ্ব দরবারে ব্যাপক সমালোচনা ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়েছে।
অন্যদিকে, মিয়ানমারে সাংবিধানিকভাবে এখনও নির্বাহী বিভাগে সেনাবাহিনী শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো সেনাবাহিনীর স্বার্থে পরিচালিত হচ্ছে।
রোহিঙ্গা নিধন ইহুদি গণহত্যার মতো ভয়াবহ: মিয়ানমারের আইনজীবী
আরাকান আর্মিকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করেছে মিয়ানমার
এছাড়াও, মিয়ানমারের পার্লামেন্টে ২৫ শতাংশ আসন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত।
নভেম্বরের নির্বাচনের দৌড়ে অং সান সু চি’র নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) অন্যান্য দলের চেয়ে এগিয়ে আছে। তবে, পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে পারে এনএলডি – এমনটাই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
রাখাইনে গণহত্যার দায় এড়াতে পারে না মিয়ানমার: আইসিজে
আন্তর্জাতিক আদালতের আদেশ প্রত্যাখান করেছে মিয়ানমার
এ ব্যাপারে মিয়ানমারের রাজনীতি পর্যবেক্ষক রিচার্ড হোরসে রয়টার্সকে বলেন, সম্প্রতি এনএলডি’র কর্মকাণ্ড নিয়ে মিয়ানমারে গণ-অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে দলটির জনপ্রিয়তা কমেছে।
তবে, গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি’র ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা এখনও তুঙ্গে। তাই, নির্বাচনে এনএলডি’র বিপুল ভোটে জয়ের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না – বলে জানান রিচার্ড হোরসে।
মিয়ানমারে শি জিনপিং, রাখাইন রাজ্যে চীনের বিশাল বিনিয়োগ!
রাখাইনে যুদ্ধাপরাধ হয়েছে, গণহত্যা নয়: মিয়ানমার কমিশন
অং সান সু চি ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) মিয়ানমার রোহিঙ্গা সাধারণ নির্বাচন সেনাবাহিনী