Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জোড়াতালি ঘরে আতঙ্কে রাত কাটছে হালিমার


২ জুলাই ২০২০ ০৮:০০

হিলি (দিনাজপুর): সীমান্তবর্তী উপজেলা হিসেবে পরিচিত হিলি-হাকিমপুর। আর এই উপজেলার বোয়ালদাড় ইউনিয়নের খাট্টাউছনা গ্রামে স্বামী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন হালিমা। নিজের শেষ সম্বল মাত্র ৩ শতক জায়গা । সেই জায়গাটিতে স্বামী-সন্তানকে নিয়ে থাকার জন্য বাঁশ খড়ি দিয়ে বেড়া এবং তাতে কাদা মাটি লাগিয়ে তৈরি করা দুইটা ঘর।

আবার ডিজিটাল যুগে এবং শতভাগ বিদুৎ এর এই উপজেলায় সেই ঘরে নেই বিদুৎ। স্থানীয় ভাষায় এমন ঘরগুলোকে বিশেষ করে বলা হয় ‘ছিটার ঘর’। কষ্টের তৈরি সেই ঘরগুলো বর্ষাকালের পানি ও সম্প্রতি বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ভেঙ্গে যাওয়ায় এই মহামারির মধ্যে অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছে হালিমা ও তার পরিবার।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খাট্টাউছনা বাজার থেকে পূর্ব দিকে রাস্তার পাশে একটি বাড়ি। বাড়ি ভিতর গিয়ে দেখা যায় একটি ঘর একবারেই ভেঙ্গে পড়েছে আর একটি ঘরের পূর্ব দেওয়াল ভেঙ্গে গেছে যেখানে ছিড়া কাপড়, টিন আর বাঁশের খড়ি দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে থাকেই সেই পরিবারটি। একই ঘরে থাকে হালিমা তার স্বামী, বড় মেয়ে ও ছেলে।

মহামারিতে এই কষ্টের কথাগুলো কান্না বিজড়িত কণ্ঠে বললেন হালিমা, ‘রাতে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে আতঙ্কে থাকি। কখন যে ঝড় আসে আর কখন যে বৃষ্টি হয়। সব মিলে রাত কাটে আতঙ্কে। দেখার কেউ নেই, খুব কষ্টে আছি। মেম্বার ও চেয়ারম্যানের কাছে গেলে আমাকেও কিছুই দেয় না। ঘরে থাকার মত উপায় নেই। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করছি আমাকে থাকার একটা ব্যবস্থা করে দিলে আমার উপকার হতো।’

স্থানীয় ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম জানান, ‘আমরা দীর্ঘ দিন থেকে দেখে আসছি হালিমা বেগম অনেক কষ্ট করে চলে। থাকার যে ঘরগুলো ছিলো সেগুলো এখন ভেঙ্গে গেছে। রাস্তা পাশে বাড়ি হওয়ায় যাতায়াত করতে আমরা দেখি। সরকার যদি তার জন্য একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দিত তাহলে তার অনেক উপকার হতো।’

বিজ্ঞাপন

হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুন জানান, ‘আমি বিষয়টি ইতোমধ্যে স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জেনেছি। জমি আছে, ঘর নেই এই প্রকল্পের আওতায় দ্রুত তার ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।’

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রাফিউল আলম জানান, ‘আমি আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখবো এবং তার যদি নিজস্ব জায়গা থাকে সেখানে জমি আছে, ঘর নেই এই প্রকল্পের আওতায় গৃহনির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়াও সে যদি অন্যান্য ভাতার পাওয়ার মত যোগ্য হয় তাহলে সেগুলোর ব্যবস্থা করা হবে।’

করোনা কুঁড়েঘর পরিবার মানবিক আবেদন হালিমা হিলি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর