হংকংয়ে লাইব্রেরি থেকে উধাও গণতন্ত্রপন্থি বইপত্র
৬ জুলাই ২০২০ ০১:২৩
হংকংয়ের পাবলিক লাইব্রেরিগুলো থেকে গণতন্ত্রপন্থিদের লেখা বইপত্র উধাও হতে শুরু করেছে। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
রোববার (৫ জুলাই) পাবলিক লাইব্রেরির অনলাইন ক্যাটালগ ঘেঁটে দেখা যায় অন্তত ৯টি বইয়ের কোনো হদিস নেই।
এদিকে পাবলিক লাইব্রেরি পরিচালনা কর্তৃপক্ষ বিবিসিকে জানিয়েছে, বইয়ের লেখাগুলো পুনঃপর্যালোচনা করে দেখা হবে যে, তাতে নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘিত হয়েছে কিনা। তাই ক্যাটালগ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পাবলিক লাইব্রেরি’র ক্যাটালগ থেকে উধাও হয়ে যাওয়া বইগুলোর মধ্যে রয়েছে গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনের সংগঠক জশুয়া ওং, গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনের কর্মী তানয়া চ্যান এবং স্থানীয় পণ্ডিত চিন ওয়ানের লেখা কমপক্ষে তিনটি বই।
1/ More than just punitive measures, the national security law also imposes a mainland-style censorship regime upon this international financial city. Although my books are published years before Hong Kong's anti-extradition movement, they are now prone to book censorship. https://t.co/2fbyvtcH95
— Joshua Wong 黃之鋒 😷 (@joshuawongcf) July 4, 2020
এ ব্যাপারে জশুয়া ওং এক টুইটার বার্তায় জানিয়েছেন, নতুন নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে হংকংয়ে মেইনল্যান্ড ধাঁচের সেন্সরশিপ আরোপ করা হয়েছে। যা আদতে বই নিষিদ্ধের পদক্ষেপ থেকে আরও ভয়ংকর।
চীনে ‘বিতর্কিত’ হংকং নিরাপত্তা আইন পাস
এর আগে, চীনের পার্লামেন্টে গত মঙ্গলবার নতুন হংকং নিরাপত্তা আইন পাস হয়েছে। এ আইনের আওতায় হংকংয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদ, রাষ্ট্রদ্রোহ, সন্ত্রাসবাদ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করতে বিদেশি বাহিনীর সঙ্গে আঁতাঁত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
ইতোমধ্যেই, নিরাপত্তা আইনের আওতায় হংকং থেকে অন্তত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
চীনের জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় আসছে হংকং
অন্যদিকে চীনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অস্থিরতা প্রশমন এবং গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা সামাল দিতেই এ আইন প্রয়োজন। এছাড়াও, হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের জন্য কোনোভাবেই আইনটি হুমকি নয় বলে দাবি করেছে চীন।
হংকংয়ে চীনা আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভ থেকে তিন শতাধিক আটক
তবে, নতুন এই হংকং নিরাপত্তা আইনটিকে ওই অঞ্চলের বিশেষ স্বায়ত্তশাসন, স্বাধীনতার জন্য হুমকি এবং বৃহত্তর গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন ও ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার হিসেবে বর্ণনা করে আসছেন সমালোচকরা। এমনকি, বিতর্কিত এ আইন পাসের নিন্দা ও সমালোচনা করেছে যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং ন্যাটো।
হংকংয়ে ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল নির্বাচনে চীনপন্থিদের ভরাডুবি
বন্দি প্রত্যর্পণ বিলের ‘মৃত্যু’ হয়েছে: ক্যারি ল্যাম
হংকংয়ে বন্দি প্রত্যর্পণ বিল বাতিল, আন্দোলন থামেনি