Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্থগিত এমবিবিএস ফাইনাল প্রফেশনাল পরীক্ষা দ্রুত চায় শিক্ষার্থীরা


১২ জুলাই ২০২০ ১৮:৫২

ঢাকা: সারাদেশের মেডিকেল কলেজগুলোর স্থগিত মে-২০২০’র এমবিবিএস ফাইনাল প্রফেশনাল পরীক্ষা অবিলম্বে নেওয়ার দাবিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ডিন অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১২ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের রেডিওলোজি ও ইমেজিং বিভাগে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি করোনা মহামারিতে অন্যসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো মেডিকেল কলেজগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে আটকে আছে মে’২০ সালের সব কটি প্রফেশনাল পরীক্ষা। তবে অন্যসব পরীক্ষার তুলনায় ফাইনাল পরীক্ষা একটু আলাদা। মে’২০ সালের প্রফেশনাল পরীক্ষা মূলত ২০১৯ সালের সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা। অন্য প্রতিষ্ঠানের তুলনা কম ছুটি, বেশি ক্লাস এবং ছয়মাস অন্তর নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে কৃতকার্যদের চিকিৎসক হওয়ার যে ধারা তা বিগত কয়েক বছরই মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থাকে সেশনজটবিহীন এবং হাসপাতালে রোগীদের সেবা প্রদানে ডাক্তার যোগান দেওয়াকে রেখেছে নিরবিচ্ছন্ন। রোগীদের সবচেয়ে দুঃসময় মেটাতে চিকিৎসক তৈরির এ ধারা ব্যাহত হলে ফাইনাল প্রফেশনাল পরীক্ষা নেওয়া জরুরি।

মেডিকেল কলেজগুলোর তত্ত্বাবধায়ক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে আসা নোটিশ অনুযায়ী, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্যে স্থগিত করা হয়েছে প্রফেশনাল পরীক্ষা। মেডিকেলের নিয়ম অনুসারে ইতোমধ্যেই ৬ মাস পিছিয়ে যাওয়া আড়াই হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত; যাদের জন্য প্রফেশনালের মতো কারিকুলাম সংশোধন করে এ ঘাটতি পূরণের কোনো সুযোগ নেই।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, এই সংকট নিরসনে আমরা যথাযথ কতৃপক্ষের সঙ্গে যাবতীয় তথ্য-উপাত্তসহ যোগাযোগ করলেও তারা আমাদের কোনো সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত জানাতে ব্যর্থ হয়। গত মে মাসে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। সেপ্টেম্বরে ইন্টার্ন করার কথা ছিল। আমাদের ব্যাচমেট যারা উত্তীর্ণ হয়েছে তারা অনেকই যোগদান করেছে। কিন্তু আমরা যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারিনি আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। আমরা চাই বিকল্প পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হোক। আমরা যোদ্ধা হয়ে করোনা রোগীদের সাপোর্ট দেব।

শিক্ষার্থীরা বলেন, সামনে সেপ্টেম্বরে গত বছরের ইন্টার্নি ব্যাচ শেষ হয়ে যাচ্ছে। যদি আমাদের পরীক্ষাটা না নেওয়া হয় তাহলে সারাদেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে ইন্টার্ন চিকিৎসকের সংকট দেখা দেবে। সেজন্য আমরা বিগত এক মাস ধরে আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করছি। তবে এখনও আশানুরূপ কোনো ফল পাইনি। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিনের ডীন ডা. শাহরিয়ার নবী শাকিল বলেন, ‘গত সপ্তাহে তারা এসেছিল। আমরা মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছি। পরীক্ষা নেওয়ার জন্য যেটা দরকার সেটা হলো- আগে মেডিকেল কলেজ খুলতে হবে। হোস্টেলগুলো খুলতে হবে। সবাইকে আসার ব্যবস্থা করতে হবে। এ প্রক্রিয়া যখন সম্পন্ন হবে তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার ব্যবস্থা নেবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু পরীক্ষা বন্ধ করেনি। বর্তমান প্রেক্ষাপট সবার জানা। ১৮ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। মে মাসে পরীক্ষার সিডিউল ছিল। ডেন্টাল কলেজের পরীক্ষা চলছিল সেটাও বন্ধ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান খুলতে পারিনি। সেখানে কীভাবে পরীক্ষা হয়?’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেলসহ কয়েকটি হাসপাতালে কেভিড রোগী। কীভাবে তাদের পরীক্ষা নেব? শুধু মৌখিক পরীক্ষা নিলেতো হবে না। প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা নিতে হয়। এই সময় কীভাবে সম্ভব। যদি কোনো ছেলেমেয়ে আক্রান্ত হয়, এর দায়িত্ব কে নেবে? কলেজগুলো খুললেই এক সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া হবে।’

এমবিবিএস পরীক্ষা ফাইনাল প্রফেশনাল মেডিকেল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর