Saturday 14 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সিভিএফ-এর ‘থিমেটিক অ্যাম্বাসেডর’ হলেন সায়মা ওয়াজেদ


২২ জুলাই ২০২০ ১৯:১৫ | আপডেট: ২২ জুলাই ২০২০ ১৯:১৯
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: ন্যাশনাল অ্যাডভাইসরি কমিটি অন নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার্স অ্যান্ড অটিজমের চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেনকে ‘ভালনারেবিলিটি’ থিমেটিক বিভাগের অধীনে ‘থিমেটিক অ্যাম্বাসেডর’ মনোনীত করেছে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ)। পাশাপাশি মালদ্বীপের সাবেক স্পিকার ও প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ, ফিলিপাইন সংসদের ডেপুটি স্পিকার লোরেন লেগার্ডা ও কঙ্গোর রিপাবলিকের শীর্ষ জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ টোসি পান-পানুকেও সংগঠনটির ‘থিমেটিক অ্যাম্বাসেডর’ মনোনীত করা হয়েছে। এই তিন জন যথাক্রমে তিনটি থিমেটিক বিভাগ— অ্যাম্বিশন, পার্লামেন্ট ও রিনিউয়েবল এনার্জি’র অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২২ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে নবনির্বাচিত অ্যাম্বাসেডরদের নিজ নিজ ভূমিকা পালন করার আমন্ত্রণ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। সিভিএফ জানিয়েছে, মার্শাল আইল্যান্ডস ও কোস্টারিকা থেকেও সংস্কৃতি ও অর্থনীতি বিষয়ক আরও দু’জন থিমেটিক অ্যাম্বাসেডোর নিয়োগ দেওয়া হবে।

সিভিএফ-এর থিমেটিক অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নবনিযুক্ত চার জন বিশ্বব্যাপী জনসাধারণের কাছে প্রচারণা চালাবেন এবং বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট মহল ও সংগঠনের মাঝে সমন্বয় ঘটাবেন। তারা বিভিন্ন প্লাটফরমে জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক ঝুঁকিগুলোর ব্যাপরে বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করবেন। বিশেষত তারা দেশগুলোকে প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অনুযায়ী বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার জন্য আহ্বান জানাবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সায়মা ওয়াজেদ, মোহাম্মদ নাশিদ, লরেন লেগার্ডা ও তোসি পানু-পানু নিজ নিজ বিভাগে প্রচুর জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। নিজ নিজ ক্ষেত্রে কাজে আন্তরিতা ও এর মাধ্যমে প্রাপ্ত দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা তাদের রয়েছে।

বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সন্তান সায়মা নিউরোডেভেলপমেন্ট ডিজঅরডার্স ও মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং এ সম্পর্কে একজন বক্তা ও লেখক। তিনি সামাজিক প্রতিবন্ধকতা দূর করে মানসিক ভারসাম্যহীন ও শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী মানুষকে সমাজের মূলধারায় নিয়ে আসার ইস্যুতে বড় ধরনের অবদান রেখেছেন।

সায়মা ওয়াজেদ হোসেন ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর জাতিসংঘের অটিজম সচেতনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতিসংঘ আয়োজিত অনুষ্ঠানে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে আসছেন। তিনি জাতিসংঘ আয়োজিত ‘অ্যাড্রেসিং দ্য সোসিওইকোনোমিক নিডস অব ইন্ডিভিজুলেস, ফ্যামিলিস অ্যান্ড সোসাইটিজ অ্যাফেকটেড বাই অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডাস, ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডারর্স অ্যান্ড অসোসিয়েটেড ডিজঅ্যাবিলিটিজ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন।

অন্যদিকে, মোহাম্মদ নাশিদ প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে অক্লান্তভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি, কাবর্ণ নিঃসরণের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিবাদে তিনি পানির নিচে একটি প্রতীকী মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকের আয়োজন করে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেন। এর মাধ্যমে তিনি বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে বিশ্বের উপকূলবর্তী দেশগুলো যে পানিতে সম্পূর্ণ বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে আছে, তা তুলে ধরেন।

লরেন লেগার্ডা ফিলিপাইন্স পার্লামেন্টে জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর একটি অধিবেশনের আয়োজন করেন। বিশ্বের যে কয়েকজন পার্লামেন্ট সদস্য জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সোচ্চার, লরেন তাদের অন্যতম। অর্থায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কার্বন বাজার, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পরিবেশ ও কূটনীতি সম্পর্কে তোসি পানু-পানুর বেশ কয়েক বছরের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে।

থিমেটিক অ্যাম্বাসেডররা সিভিএফ সভাপতির গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডাগুলো বাস্তবায়নে সাহায্য করবেন এবং সরকারের নির্বাহী বিভাগের পাশাপাশি বিদ্যমান ও নতুন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর স্বার্থ সংরক্ষণে ভূমিকা রাখবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা সিভিএফ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পক্ষে যুক্তি, দাবি ও প্রস্তাবনা উপস্থাপন করবেন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সমন্বয় করবেন।

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম টোসি পান-পানু থিমেটিক অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ নাশিদ লোরেন লেগার্ডা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল সিভিএফ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর