দায়িত্ব ওয়াসার, গালি শুনতে হয় আমাদের: মেয়র আতিক
২২ জুলাই ২০২০ ২১:৩৩
ঢাকা: রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ওয়াসার দায়িত্ব পালন নিয়ে প্রশ্ন তুলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘খালের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আমাদের দেয়া হোক। আমরা দায়িত্ব নিয়ে সমাধান করতে চাই। জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব পালন করে ওয়াসা। কিন্তু জনগণের গালি শুনতে হয় আমাদের।’
বুধবার (২২ জুলাই) বিকেলে জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলামের সঙ্গে কাওরানবাজার এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গতবার যখন এসেছিলাম তখন মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের সামনে পানি জমে ছিল। এখন পানি কিন্তু জমে না। কালশীর জলাবদ্ধতার সমাধানও আমরা করেছি। কাওলা খাল নিজেদের উদ্যোগে খনন করেছি। আজ সকালে মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে মিটিং ছিল। দক্ষিণের মেয়রসহ আমি বলেছি ওয়াসা থেকে আমাদেরকে খালগুলো দিয়ে দিন। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসেছি। আমরা কথা দিতে পারি, এ খাল আমরা পুনরুদ্ধার করব। ড্রেন থেকে খাল এবং খাল থেকে নদীতে আমরা সংযোগ করব। আমরা দেখেছি কাওরানবাজারে গতকাল কোমর পানি ছিল। এখানে মাস্টার প্ল্যান করতে হবে দুটো। একটা হচ্ছে সাফিশিয়েন্ট পাম্প লাগাতে হবে, যাতে পানি হাতিরঝিল থেকে ওপারে যায়। আর আমাদের কানেক্টিভিটি আরও বাড়াতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি মগবাজারের কী অবস্থা। আমি মন্ত্রীকে বলেছি ঢাকা শহরের যেসব জায়গায় এই মুহূর্তে পানি জমেছে কাওরানবাজার, মগবাজার, মিরবাগ, মধুবাগ— জলাবন্ধতাপ্রবণ এই এলাকাগুলোর জন্য আমরা একটা প্রজেক্ট নিয়েছি। যদি অনুমোদন পেয়ে যাই, কথা দিতে পারি আগামী বছর এই এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হবে না। আমরা ছাব্বিশটা জায়গা চিহ্নিত করেছি।’
মেয়র আতিক বলেন, ‘গালি কিন্তু আমাদেরকে শুনতে হয়। ওয়াসার কাজগুলো আমাদেরকে দিন। আমরা দেখিয়ে দিতে চাই, নগরবাসীকে আমরা যে কথা বলি কাজেও তাই করি। কথার সঙ্গে কাজের মিল আছে।’
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগে যে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হয়েছে অর্থাৎ ড্রেনের পাইপ যত মোটা করা হয়েছে, এখন তা হবে না। এখনকার প্রেক্ষাপটে আরও বেশি স্পেস লাগবে। কিছু বিষয়ে কাজ করা দরকার। যেমন খাল ভালো করে পরিষ্কার করা। যদিও আমরা এসব বিষয়ে প্রথম থেকে পদক্ষেপ নিয়েছি। কিন্তু সবগুলো এখনও ঠিকমতো পরিষ্কার হয় নাই। এজন্য আমি মাঠ পরিদর্শনে এসেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্থায়ী সমাধানে যেতে সময় লাগবে। কারণ পানি ব্যবস্থাপনার জন্য যথেষ্ট উপায় নেই। এজন্য আরও বর্ধিত ব্যবস্থাপনা লাগবে। আমরা ভবিষ্যতে এসব প্রকল্প নিয়ে কাজ করবো। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শহরের মানুষ যাতে দুর্ভোগের সম্মুখীন না হয় সেজন্য চেষ্টা করব।’
পরিদর্শনকালে ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহঃ আমিরুল ইসলাম ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শরীফ উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।