সিরাজগঞ্জে পৃথক ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু
১১ আগস্ট ২০২০ ০১:২৫
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের তিন উপজেলায় ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বেসরকারি সংস্থা টিএমএসএস’র শাখা ব্যবস্থাপকসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১০ আগস্ট) সকালে বন্যার পানিতে ভাসমান অবস্থায় একজনের মৃতদেহ, বিকেলে মোটরসাইকেলে করে কর্মস্থল ফরিদপুর যাওয়ার পথে নাটোরের বনপাড়ায় ট্রাক ধাক্কায় একজনের এবং কামারখন্দ উপজেলায় বিদ্যুৎপৃষ্টে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন- বেলকুচি পৌর এলাকার দেলুয়া গ্রামের লাল চাঁন মন্ডলের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০), নলকা বাজার এলাকার অটোভ্যান চালক জহুরুল ইসলামের ছেলে রানা সেখ (১৫) এবং তাড়াশের দেশীগ্রাম ইউনিয়নের দুলিশ্বর গ্রামের তোজ্জামেল হকের ছেলে ফারুক তালুকদার (৩০)। ফারুক ফরিদপুর জেলা সদরে বেসরকারি সংস্থা টিএমএসএস’র শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নুরে আলম বলেন, রোববার বিকেলে ওষুধ কিনতে বের হয় রফিকুল ইসলাম। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। তার পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান পায়নি। সোমবার সকালে বেলকুচি পৌর এলাকার চালা উত্তরপাড়া আঞ্চলিক সড়কে বন্যার পানিতে রফিকুল ইসলামে মৃতদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী। পরে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মৃত রফিকুল ইসলাম মৃগীরোগী ছিলেন বলে তার পরিবার জানিয়েছে।
এদিকে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জেড এম তাজুল হুদা জানান, সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কামারখন্দ উপজেলার নলকা ইউনিয়নের নলকা বাজার এলাকায় নিজ বাড়িতে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে রানা নামে (১৫) বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। নিহত রানা সেখ নলকা বাজার এলাকার অটোভ্যান চালক জহুরুল ইসলামের ছেলে।
এছাড়া তাড়াশ থানার ওসি জানান, বৃহস্পতিবার সলঙ্গা থানার দবিরগঞ্জের ফারুক তালকদার বিয়ে করেন। পরে নববধূকে রোববার সকালে শশুরবাড়ি রেখে মোটরসাইকেল করে কর্মস্থল ফরিদপুর যাওয়ার পথে নাটোরের বনপাড়ায় একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।