কাজ শেষের আগেই খসে পড়ছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পলেস্তারা
১৪ আগস্ট ২০২০ ০৮:১২
কুয়াকাটা (পটুয়াখালী): কুয়াকাটার আজিমপুরে লতাচাপলী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীরের নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে দেয়াল নির্মাণের কারণে কাজ শেষ হওয়ার আগেই পলেস্তারা খসে পড়ছে। তবে সরেজমিনে পরিদর্শন করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পটুয়াখালী জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর।
স্থানীয়দের অভিযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সীমানা প্রাচীর নির্মাণে কোনো কানুনের তোয়াক্কা করছে না ঠিকাদার ও স্বাস্থ্য প্রকৌশল দফতর। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খেয়াল-খুশি মতো যেনতেন ভাবে কাজ করা হচ্ছে।
পটুয়াখালী স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী জেলায় ৩টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের ১ হাজর ৬০০ ফুট সীমানা প্রাচীর তৈরির কাজ দেওয়া হয় ঝালকাঠির ঠিকাদার রেজা মিয়াকে। ২৮ লাখ টাকা প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে একটি কুয়াকাটার আজিমপুরে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র।
এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চার পাশে ৬ ফুট উচ্চতার সাড়ে ৪০০ ফুট সীমানা প্রাচীরের কাজ নিয়ে নানা অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। তারা জানান, প্রায় ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সীমানা প্রাচীরের নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইট, রড ও লোকাল বালু ব্যবহার করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রশিদ মৃধা জানান, সীমানা প্রাচীরের কাজে সিলেটের লাল বালু এবং মোটা সাদা বালু সমান হারে দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। লোকাল বালুর সাথে মোটা সাদা বালু মিশিয়ে কাজ করা হয়েছে।
একই অভিযোগ করেন স্থানীয় ফারুক হোসেনের। তিনি বলেন, ‘নিম্নমানের ইট ও লোকাল বালু ব্যবহারের কারণে কাজ শেষ হওয়ার আগেই বাউন্ডারি ওয়ালের আস্তরণ খসে পড়ছে। একটি পিলারের সাথে অন্য পিলারের দূরত্বও নকশা অনুযায়ী করা হয়নি। এমনকি সঠিকভাবে রডও দেওয়া হয়নি।’
কাজের সাব ঠিকাদার মো. হাসান বলেন, ‘প্রথম দিকে এক গাড়ি মানহীন বালু দিয়ে কাজ করা হয়েছে, যার কারণে কোথাও কোথাও কাজ একটু খারাপ হয়েছে। পরবর্তীতে এসব বালু দিয়ে আর কাজ করা হয়নি।’
লতাচাপলী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের জমিদাতা ও লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সাঈদ বলেন, ‘বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। ঠিকাদার নিয়ম না মেনে কাজ করছে। এ বিষয়ে প্রকল্প প্রকৌশলীকে বারবার বলা হলেও তিনি রহস্যজনক কারণে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন।’
কাজে অনিয়ম হচ্ছে স্বীকার করে তদারকি কর্মকর্তা সহকারী প্রকৌশলী শোভন শাহরিয়ার জানান, অনিয়মের বিষয়ে তাকে অবগত আছেন। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের ভিডিও ও নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
পটুয়াখালী স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হক জানান, কাজে অনিয়ম হচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়েছেন। সরেজমিনে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্বাহী প্রকৌশলী নির্মাণ কাজ অনিয়ম লতাচাপলী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র স্বাস্থ্যকেন্দ্র