Wednesday 09 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনাকালে বিএমএ নেতার ‘বিতর্কিত’ কর্মকাণ্ড এলো পুলিশ প্রতিবেদনেও


১৮ আগস্ট ২০২০ ২২:৪৮
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রাম ব্যুরো: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শুরুর পর থেকেই বন্দরনগরী চট্টগ্রামের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় বেহাল দশার নেপথ্যে এক চিকিৎসক নেতার ‘নেতিবাচক’ ও ‘বিতর্কিত’ ভূমিকার তথ্য উঠে এসেছে পুলিশ সদর দফতরের এক প্রতিবেদনে। ওই নেতার বিতর্কিত ভূমিকার কারণেই করোনভাইরাসের চিকিৎসা নিয়ে চট্টগ্রামে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে হত্যার হুমকি দেওয়াসহ রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক তৈরির অভিযোগও আনা হয়েছে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত এই চিকিৎসক নেতার বিরুদ্ধে।

নানা কর্মকাণ্ডে চট্টগ্রামে প্রায়ই আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেওয়া এই চিকিৎসক নেতা ডা. মোহাম্মদ ফয়সল ইকবাল চৌধুরী বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক। প্রতিবেদনে এই পদবির পাশাপাশি ফয়সলকে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ফয়সল ইকবাল চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক পদেও আছেন।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয় চলতি বছরের ৩ এপ্রিল। গত সাড়ে চার মাসে চট্টগ্রামে রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৯৬৫ জনে। এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে প্রথম তিন মাসে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৫৩ জনের।

ডা. ফয়সলকে নিয়ে আরও খবর-

শুরু থেকেই চট্টগ্রামে করোনার চিকিৎসা নিয়ে বেহাল অবস্থা তৈরি হয়। বেসরকারি হাসপাতালগুলো কোভিড ও নন-কোভিড সব রোগীদের চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেয়। তিনটি সরকারি হাসপাতালকে রোগীর চাপ সামলাতে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। চিকিৎসা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে হাহাকার শুরু হলে আলোচনায় আসতে শুরু করেন বিএমএ নেতা ফয়সল ইকবাল। বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসাসেবা বন্ধের নেপথ্যে এই বিএমএ নেতার মদতের অভিযোগ ওঠে জোরেশোরে। একপর্যায়ে এক মানববন্ধন থেকে তাকে গ্রেফতারের দাবিও ওঠে। এর মধ্যেই ৩০ মে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মনিটরিংয়ে স্থানীয় প্রশাসনের একটি সার্ভেইল্যান্স টিমের সদস্য করে পরে আবার বাদ দেওয়া হয় ফয়সল ইকবালকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১ জুলাই পুলিশ সদর দফতর থেকে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স) মো. হায়দার আলী খানের ‘বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ও স্বাচিপ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মো. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী সম্পর্কে একটি বিশেষ প্রতিবেদন’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠানো হয়। ৮ জুলাই সেটি সিনিয়র সচিবের দফতরে পৌঁছে।

জানতে চাইলে অতিরিক্ত ডিআইজি মো. হায়দার আলী খান সারাবাংলাকে বলেন, ‘দেড় মাসের আগের প্রতিবেদন, আমি এই মুহূর্তে পুরোপুরি মনে করতে পারছি না। আপনার কাছে যদি প্রতিবেদনের কপি থাকে, তাহলে আমাকে জিজ্ঞাসা না করলেও পারেন।’

পুলিশ সদর দফতরের পাঠানো প্রতিবেদনের (পুলিশ অধিদফতরের স্মারক নম্বর- ২১৫৬, তারিখ-০১/০৭/২০২০) একটি অনুলিপি সারাবাংলা’র কাছে সংরক্ষিত আছে।

সূত্রমতে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী গত ১২ আগস্ট ওই প্রতিবেদনের ছায়ালিপি পাঠিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে। সেটি এখন বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা অধিশাখার যুগ্ম সচিবের দফতরে রয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা অধিশাখার যুগ্ম সচিব উম্মে সালমা তানজিয়া সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন, বিএমএ নেতা ডা. মোহাম্মদ ফয়সল ইকবাল চৌধুরীর বিষয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন পেয়েছেন।

উম্মে সালমা তানজিয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় একটি প্রতিবেদন আমার হাতে এসেছে। এটি সচিব স্যারের দফতর ঘুরে আমার টেবিলে এসেছে। এ বিষয়ে একটি নথি তৈরি করা হবে। সেটি উচ্চপর্যায়ে উপস্থাপন করা হবে। পরবর্তী সময়ে হয়তো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হবে। বলা যেতে পারে, এটি উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষমাণ আছে। কিছু সময় হয়তো লাগবে।’

বিএমএ নেতা ফয়সলের যত ‘বিতর্কিত কাণ্ড’

বিএমএ নেতা ফয়সল ইকবাল চৌধুরীকে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে ‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ উল্লেখ করে সাম্প্রতিক কিছু কর্মকাণ্ডে উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বিএমএ’র নেতৃত্বে থাকার কারণে চিকিৎসক ও চিকিৎসা সংক্রান্ত সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর তার একটি কর্তৃত্ব তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে ফয়সল ইকবাল বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের পক্ষ নেন। চট্টগ্রাম মহানগরীতে থাকা অধিকাংশ বেসরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালের মালিক মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নন উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ফয়সল ইকবাল চৌধুরী তাদের প্রশ্রয় দেন বলে অভিযোগ আছে।

কোভিড সংক্রমণের শুরুতে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হয়, কিন্তু সেখানে আইসিইউ সাপোর্ট ছিল না। এজন্য ১২টি বেসরকারি হাসপাতালকে আইসিইউ সাপোর্ট দেওয়ার জন্য নির্ধারণ করে দেয় সরকার। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের এই সিদ্ধান্তকে বেসরকারি হাসপাতালগুলো সরাসরি অগ্রাহ্য করে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। কোভিড রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর অনীহার ক্ষেত্রে ফয়সল ইকবালের দায়-দায়িত্ব আছে বলে সাধারণ মানুষ মনে করেন।

করোনাকালে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার খবর-

করোনার চিকিৎসার জন্য বেসরকারি হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালকে প্রস্তুত করা নিয়ে সময়ক্ষেপণ এবং শিল্পপতিদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগের কথাও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, চট্টগ্রাম নগরীর খুলশিতে হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালটি অনেকদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিক অ্যাসোসিয়েশন ওই হাসপাতালকে করেনার চিকিৎসার জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলার দোহাই দিয়ে মে মাস পর্যন্ত তাদের হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ রাখে। পরে সরকারিভাবে বেসরকারি হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, অবেদনবিদ নিয়োগ দিতে হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল চালু করার জন্য প্রতিটি প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে তিন লাখ টাকা করে চাঁদা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অনেক শিল্পপতির কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া হয়েছে। সব অর্থ ব্যয় হলে হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক ভালো হতে পারত। বেসরকারি হাসপাতাল ও শিল্পপতিদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার বিষয়ে ফয়সল ইকবাল চৌধুরী জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ আছে।’

বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মালিকদের ঔদ্ধত্যের নেপথ্যে ফয়সল ইকবালের ভূমিকা তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক আছে মোট ৬১টি। মে মাসের শেষ সপ্তাহের আগে তারা কোনো কোভিড-১৯ রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করেনি। এমনকি নন-কোভিড রোগীদেরও তারা চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে হয়রানির অভিযোগ আছে। বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের এ ধরনের আচরণের জন্য ফয়সল ইকবাল চৌধুরীকে দায়ী করা হয়। কারণ সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করেন, তিনি সঠিক ভূমিকা নিলে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মালিকেরা এই আচরণের সাহস পেতেন না।

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রণিকে হত্যার হুমকি দেওয়ার একটি প্রসঙ্গও এসেছে এই প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, গত ২২ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। নগরীর হালিশহর থানা এলাকায় প্রিন্স অব চিটাগং কমিউনিটি সেন্টারে স্থাপিত একটি করোনাভাইরাস আইসোলেশন সেন্টারের উদ্যোক্তা ‘জনাব সাজ্জাদের’ সঙ্গে কথোপকথনের অংশবিশেষ শোনা যায়। অডিওটির ট্রান্সক্রিপশন নিম্নরূপ: ‘রইন্যার (নুরুল আজিম রণি) মতো চোর-ডাকাতের সাথে কী? দেশ একটু সুস্থ হোক। ওর লাশ দেখা যাবে। ওর লাশ যদি না ফেলি, আমার নাম ফয়সল ইকবাল না।’ এই অডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ার পর চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের একাংশ ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠন বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং ফয়সল ইকবালের শাস্তি দাবি করে।

অডিও ক্লিপে যে নুরুল আজিম রনির নাম উঠে এসেছে, তিনি চট্টগ্রামের রাজনীতিতে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। চট্টগ্রামের বিভিন্ন সামাজিক ও নাগরিক আন্দোলনে সরব রনি গত ৪ জুন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে চিকিৎসা খাতকে জিম্মি করার অভিযোগে বিএমএ নেতা ফয়সল ইকবাল এবং চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. লিয়াকত আলীকে গ্রেফতারের দাবি করেন।

প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণে ফয়সল ইকবালকে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিটি করপোরেশনের মেয়র (সাবেক) আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে গ্রুপিং রাজনীতিতে ভূমিকা রাখার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার বিভিন্ন বক্তব্য মহানগর আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংকটের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও আ জ ম নাছির উদ্দীনের গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি দোষারোপের বিষয়টিও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, ফয়সল ইকবাল চৌধুরী ‘চিকিৎসকদের নিরাপত্তা পর্যাপ্ত নয়’ বলে বিতর্কিত মন্তব্য করেন এবং চিকিৎসকদের সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে দায়িত্বশীল পদে থেকে বিষোদগার করেন।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আজিম রনির অভিযোগের ভিত্তিতে ফয়সল ইকবাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিলে তিনি বিএমএ’র প্রভাব খাটিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারেন বলে ধারণা করা হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে ফয়সল ইকবাল চৌধুরীকে ‘বিতর্কিত’ বক্তব্য ও কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

ফয়সল ইকবাল চৌধুরী যা বললেন

প্রতিবেদনে উত্থাপিত অভিযোগ সারাবাংলার কাছ থেকে জেনে এ বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন বিএমএ, চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ ফয়সল ইকবাল চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের চিকিৎসা নিয়ে আমি কোনো নেতিবাচক ও বিতর্কিত ভূমিকা নিইনি। বরং শুরু থেকেই আমি আগাগোড়া জানপ্রাণ দিয়ে কাজ করেছি। বিএমএ’র পক্ষ থেকে আমরাই প্রথম চট্টগ্রামের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে পিপিই পৌঁছে দিয়েছি। চট্টগ্রামে বিএমএ প্রথম হাই-ফ্লো নজেল ক্যানোলার ব্যবস্থা করেছে। এটা আমরা বিএমএ’র নিজস্ব ফান্ড থেকেই করেছি।’

বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিতর্কিত ভূমিকায় সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা একেবারে ভিত্তিহীন কথা। কোনো ক্লিনিকে আমার মালিকানা নেই। কোনো ক্লিনিক পরিচালনার সঙ্গেও আমি যুক্ত নই।’

হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল নিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রসঙ্গে ফয়সল ইকবাল সারাবাংলাকে বলেন, ‘হলি ক্রিসেন্টের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিক সমিতি সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটি কোভিড চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করে। আমি কেবল বিএমএ’র প্রতিনিধি হিসেবে তাদের দাওয়াতে সেখানে গেছি। আমি তো কারও কাছ থেকে এক টাকাও নিইনি। কারও কাছ থেকে টাকা নেওয়ার প্রমাণ যদি কেউ দেখাতে পারে, আমি আমার সমস্ত পদ-পদবি থেকে পদত্যাগ করব।’

নুরুল আজিম রনিকে হুমকি এবং গ্রুপিং তৈরির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এসব কাল্পনিক ও বানোয়াট অভিযোগ। এগুলোর কোনো সত্যতা নেই।’

করোনায় চিকিৎসা চিকিৎসক নেতা চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা ড. ফয়সল ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী পুলিশ প্রতিবেদন বিএমএ চট্টগ্রাম বিতর্কিত কর্মকাণ্ড স্বাচিপ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর