২ হাজার কোটি টাকা পাচার মামলায় ফরিদপুর ছাত্রলীগ সভাপতি রিমান্ডে
২২ আগস্ট ২০২০ ১৮:৪৩
ঢাকা: দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগের মামলায় ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহামুদ শামীমের তিন দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার (২২ আগস্ট) ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাল এ আদেশ দেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা আসামি শামীমকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে এদিন শামীমের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
কাফরুল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা রনপ কুমার এ তথ্য জানান। শুক্রবার (২১ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার উত্তরা এলাকা থেকে সিআইডির (ঢাকা) একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানায়, মানি লন্ডারিং আইনে সিআইডির পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলার পলাতক আসামি ছিলেন তিনি।
গত ১৬ জুন রাতে ফরিদপুর শহরের মোল্লাবাড়ি সড়কে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে সুবল চন্দ্র সাহা গত ১৮ জুন ফরিদপুর কোতোয়ালী থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। গত ৭ জুলাই পুলিশের বিশেষ অভিযানে সুবল সাহার বাড়িতে হামলার মামলায় গ্রেফতার হন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত, তার ভাই ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ আরও সাতজন।
এরপর বরকত ও রুবেলের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে তদন্তে নামে সিআইডি। তদন্তে প্রাথমিকভাবে দুই হাজার কোটি টাকা অবৈধ উপায়ে অর্জন ও পাচারের তথ্য পাওয়া গেলে গত ২৬ জুন শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলকে প্রধান আসামি করে অবৈধ উপায়ে দুই হাজার কোটি টাকা আয় ও পাচারের অভিযোগে ঢাকার কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করে সিআইডি।
সেই মামলায় আদালতের মাধ্যমে রুবেল ও বরকতকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। রিমান্ডে শামীমসহ অনেকের নাম বলেন তারা।
রুবেল-বরকতের স্বীকারোক্তি ও তথ্যানুযায়ী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহামুদ শামীমকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে এই মামলায় আরও গ্রেফতার হয়েছে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী ও জেলা শ্রমিক লীগের অর্থ সম্পাদক বেল্লাল হোসেন।