জালিয়াতি করায় আয়েশা ও তাজ ট্রেডার্সের ব্যাংক হিসাব জব্দ
২২ আগস্ট ২০২০ ২২:১৫
ঢাকা: মোংলা বন্দরে আটক ৪ কনটেইনার নিষিদ্ধ পোস্তদানার (আফিম) আমদানিকারক আয়েশা ট্রেডার্স ও তাজ ট্রেডার্স। ঘোষণা দেওয়া হয়েছিলো টেনিস বল ও পার্টি স্প্রে। অনুসন্ধান করতে গিয়ে ১৫টি চালান খালাসে ব্যাপক জালিয়াতির তথ্য উদঘাটন করে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর। সে কারণে প্রতিষ্ঠান দু’টির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও বিন ফ্রিজ করা হয়েছে।
শনিবার (২২ আগস্ট) সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভ্যাট গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মইনুল খান। তিনি জানান, এসব ছাড়কৃত চালানে প্রকৃত ঘোষণা অনুযায়ী পণ্য ছিল কিনা এবং তারা এসব পণ্যে স্থানীয় পর্যায়ে প্রযোজ্য ভ্যাট পরিশোধ করেছে কিনা তার তদন্ত শুরু করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা। আর সে কারণে প্রতিষ্ঠান দু’টির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও বিন ফ্রিজ করা হয়েছে।
ভ্যাট গোয়েন্দার অনুসন্ধানে তাদের মনোনীত পূবালী ব্যাংক, বেগমবাজার শাখা থেকে তলবকৃত কাগজপত্রে ও আমদানি তথ্যে ব্যাপক গরমিল পাওয়া গেছে। আর ভ্যাট নিবন্ধন অনুসারে তাদের স্থাপনা ঢাকার চকবাজারে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মইনুল খান আরও জানান, প্রতিষ্ঠান দু’টি যথাযথভাবে ভ্যাট রিটার্ন দেয়নি। স্থানীয় ভ্যাট অফিসে নানা ধরনের মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের করদায়িত্ব প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। এতে ধারণা করা যায়, অতীতে তারা অনুরূপভাবে ঘোষণাবহির্ভূত পণ্য আমদানি করে অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ভ্যাট নিবন্ধন অনুযায়ী ঢাকায় প্রতিষ্ঠান দু’টির অস্তিত্ব খুঁজে না পাওয়ায় এবং আমদানিকৃত পণ্যের যথাযথ ব্যবসায়িক হিসাব না পাওয়ায় ভ্যাট গোয়েন্দার পক্ষ থেকে তদন্তের অংশ হিসেবে আজ আমদানিকারকদ্বয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও বিন (বিজনেজ আইডেন্টিফিকেশ নাম্বার) ফ্রিজ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ভ্যাট গোয়েন্দাদের ধারণা, তদন্ত শেষ হওয়ার পূর্বে তারা তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে ফেলতে পারেন। অন্যদিকে, তারা আমদানির অপেক্ষমাণ আরো অন্য কোন চালান দ্রুত খালাস করিয়ে নিতে পারেন। বেগমবাজার পূবালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে নোটিশের নোটিশ দিয়ে অন্যান্য ব্যাংকে তাদের নাম খোলা সব অ্যাকাউন্ট অপরিচালনযোগ্য করা হয়েছে। একইসাথে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আ্যাসাইকুডা সফটওয়্যারে তাদের বিন লক করা হয়েছে।
ব্যাংকের তথ্যমতে, তাজ ট্রেডার্সের মালিক মো. সাবির হোসেন। প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা যায় উভয় প্রতিষ্ঠানের বিন ভিন্ন হলেও অনিয়মের প্রকৃতি একই। আমদানিকারকদ্বয় টেনিস বলের আড়ালে অন্য কোনো পণ্য আমদানি করে বড় ধরনের শুল্ক ও ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে কিনা এবং একইসাথে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিপূর্ণ করে মানিলন্ডারিং অপরাধ করেছে কিনা তা ভ্যাট গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছে।