পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন শুরু
২৭ আগস্ট ২০২০ ২১:৩৬
ঢাকা: পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করেছে পটুয়াখালীতে অবস্থিত দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
জানানো হয়, মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) থেকে পটুয়াখালীতে অবস্থিত দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে।
পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পটুয়াখালী সদর হয়ে গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুর উপজেলায় নির্মিত ৪০০-২৩০ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রে যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ যোগ হবে।
এ প্রসঙ্গে বিসিপিসিএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী এ এম খোরশেদুল আলম সারাবাংলাকে জানান, এখনো সঞ্চালন লাইন তৈরি না হওয়ায় কেন্দ্রটি পুর্ণাঙ্গ বিদ্যুত সরবরাহে যেতে পারবে না। এখন দুটি ইউনিটকে অর্ধেক লোডে চালাতে হবে। গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকার আমিনবাজার পর্যন্ত সঞ্চালন লাইন নির্মাণ শেষ হতে আগামী বছর লেগে যাবে। এই লাইনের কাজ শেষ হলে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ ঢাকায় আনা সম্ভব হবে।
জানা যায়, বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি বিসিপিসিএল পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিক। এ কোম্পানিতে দেশের রাষ্ট্রীয় কোম্পানি নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (এনডব্লিউপিজিসিএল) ও চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইম্পোর্ট করপোরেশন (সিএমসি) সমান মালিকানা রয়েছে। বিসিপিসিএল পায়রাতে দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ৬৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি করে ইউনিট রয়েছে। এরমধ্যে প্রথম কেন্দ্রটির একটি ইউনিট পুরোপুরি উৎপাদন শুরু করেছে। আরেকটি পরীক্ষামূলক শুরু করলো। দ্বিতীয় দুটি ইউনিট আগামী বছর উৎপাদনে আসবে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করে। আর গত ১৪ মে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ মালিকানায় নির্মিত পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তিতে কম কয়লা পুড়িয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। এই প্রযুক্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হয় না। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং আমদানি করা কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট চালুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল ক্লাবে প্রবেশ করলো। এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে এশিয়াতে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তমে। দক্ষিণ এশিয়ার ভারতে এ প্রযুক্তিসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়া চীন, জাপান মালয়েশিয়াতেও আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে।