ভাড়া বাকি থাকায় ঘরে বাড়ি মালিকের তালা, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পুলিশ এলো
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:১৯
ঢাকা: জরুরি সহায়তা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে এক ভাড়াটিয়া দম্পতি ও তাদের নবজাতক সন্তানকে বাসায় ঢোকার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে কামরাঙ্গীরচর থানার বাদশা মিয়ার স্কুল এলাকা থেকে ওই কলার ৯৯৯ এ ফোন করেন।
ফোনে তিনি জানান,তিনি ঢাকার নীলক্ষেতে একটি বইয়ের দোকানে কাজ করেন। কামরাঙ্গীরচরে দুইরুমের একটি বাসায় পরিবারসহ তিনি ভাড়া থাকেন। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে স্কুল, কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাদের লাইব্রেরির ব্যবসা খারাপ হয়ে যায়। যে কারণে তিনি কয়েকমাস বেতন পাননি। এখন যা বেতন পাচ্ছেন আগের থেকে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ কারণে তার কয়েক মাস ঘর ভাড়া বাকি পড়ে যায়।
এক সপ্তাহ আগে তার স্ত্রী সন্তান জন্মদান করেন। যে কারণে তার আরও বেশকিছু টাকা খরচ হয়ে যায়। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি স্ত্রী সন্তান নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। ডাক্তার দেখিয়ে বাসায় ফিরে দেখেন তার বাসায় বাড়িওয়ালা তালা লাগিয়ে দিয়েছে। বকেয়া ভাড়া না দিলে তাকে বাসায় ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। তার কাছে দুই হাজার টাকা ছিল তিনি তাও দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু বাড়ির মালিক কিছুতেই মানছিলেন না। এই মধ্যরাতে তিনি স্ত্রী ও নবজাতক সন্তান নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন।
তিনি আরও জানান, নিরুপায় হয়ে ৯৯৯ এ ফোন করেছেন। এ পরিস্থিতিতে তাকে সহায়তার জন্য ৯৯৯ এর কাছে অনুরোধ জানান।
৯৯৯ তাৎক্ষণিকভাবে কলারের সঙ্গে কামরাঙ্গীরচর থানার ডিউটি অফিসারের কথা বলিয়ে দেয়। সংবাদ পেয়ে কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশের একটি দল অবিলম্বে ঘটনাস্থলে রওনা দেয়।
পরে রাত দেড়টায় কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই জহিরুল ৯৯৯ কে ফোনে জানান, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়িওয়ালার সঙ্গে কথা বলে তালা খুলিয়ে পরিবারটিকে বাসায় তুলে দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, কলারের তেত্রিশ হাজার টাকা ভাড়া বাকি ছিল। তিনি বাড়িওয়ালার সঙ্গে ভাড়াটিয়ার মীমাংসার ব্যবস্থা করে দেন। ভাড়াটিয়া নির্ধারিত ভাড়ার সঙ্গে অতিরিক্ত তিন হাজার টাকা দিয়ে আগের বকেয়া সমন্বয় করবেন। এ ছাড়া বাড়িওয়ালা বকেয়ার পাঁচ হাজার টাকা মওকুফ করে দিতে রাজি হয়েছেন।