সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এবং বাহরাইনের পর, মধ্যপ্রাচ্য ও আশেপাশের অঞ্চলের আরও পাঁচ দেশ অচিরেই সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তির চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে। খবর রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণায় উইসকনসিনে যাওয়ার পথে বিমানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানিয়েছেন হোয়াইট হাউজের চিফ অব স্টাফ মার্ক মিডৌস।
ইসরায়েলের সঙ্গে আরব দেশগুলোর চুক্তি সম্পর্কিত আরও খবর –
- মার্কিন মধ্যস্থতায় আমিরাত-ইসরায়েল শান্তি প্রক্রিয়া শুরু
- এবার বাহরাইন-ইসরায়েল সমঝোতা, মধ্যস্থতায় ডোনাল্ড ট্রাম্প
- ইসরায়েল-আমিরাত-বাহারাইন চুক্তি হবে হোয়াইট হাউজে
- ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি আমিরাতের বিরাট ভুল: রুহানি
- যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েল-আমিরাত-বাহরাইন চুক্তি সই
এদিকে হোয়াইট হাউজের ওই শীর্ষ কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানাচ্ছে, ওই পাঁচ দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের চুক্তির ব্যাপারটি যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে।
তবে, ওই তালিকায় কোন পাঁচ দেশ রয়েছে সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
এর আগে, ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চুক্তি সই করে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন। তখনই, আরও কয়েকটি দেশ যে একই পথে হাঁটতে যাচ্ছে সেরকম ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষরা মনে করছেন, তেল আবিবের সঙ্গে চুক্তি স্থাপনে ইচ্ছুক ওই পাঁচ দেশের মধ্যে ওমানের থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
পাশাপাশি, মধ্যপ্রাচের প্রভাবশালী মার্কিনমিত্র সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যুক্তরাষ্ট্র জোর কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
যদিও, ইরান এবং ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে আরব দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ওই চুক্তিকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখান করা হয়েছে। এমনকি, হোয়াইট হাউজে চুক্তি সই অনুষ্ঠান চলার প্রাক্কালে গাজা থেকে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে রকেট হামলা চালানোর খবর গণমাধ্যমে এসেছে।