যৌন হয়রানির মিথ্যা মামলায় সম্মানহানির প্রতিকার চান শাফিন
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২২:৫৩
ঢাকা: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইংলিশ স্পোকেন ও আইইএলটিএস প্রশিক্ষণ সেন্টার শাফিন’স-এর প্রধান শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠাতা শেখ বুলবুল আহমেদের (শাফিন) বিরুদ্ধে ভুয়া যৌন হয়রানির মামলা করে একটি কুচক্রি মহল। অথচ মামলার এজাহারে যে সময় যৌন হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে, ওই সময় দেশেই ছিলেন না তিনি। এমনকি মামলার বাদী সাদিয়া আফরিনের কোনো অস্তিত্বও খুঁজে পায়নি পুলিশ। মামলায় একাধিকবার আদালতে হাজিরা দেন শাফিন। কিন্তু বাদী সাদিয়া আফরিন একবারও আদালতে আসেননি। অবশেষে মামলার আসামি শেখ বুলবুল আহম্মেদ শাফিনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শাফিন। যৌন হয়রানির মিথ্যা মামলা দিয়ে সম্মানহানি ও ব্যবসায়িক ক্ষতি করা হয়েছে দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা মামলা দায়েরের সঙ্গে জড়িত এবং এখনো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে কুৎসা রাটনাকারীদের বিচার দাবি করেন তিনি।
শাফিন জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে ইংলিশ স্পোকেন ও আইইএলটিএস প্রশিক্ষণ সেন্টার শাফিন’সের মাধ্যেমে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি পেশাজীবীদের ইংরেজি ভাষা শিখিয়ে আসছেন। কোচিং সেন্টারের পাশাপাশি গত পাঁচ বছর ধরে তিনি নিজস্ব একটি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে অনলাইনে ফ্রি ইংলিশ শিখিয়ে আসছেন। এর মাধ্যমে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ বিনামূল্যে ইংরেজি ভাষা শিখতে পারছে।
শাফিনের ইউটিউব চ্যানেলটির সাবসক্রাইবার ৬ লাখেরও বেশি। শাফিনের দাবি, তার ব্যবসায়িক সাফল্য ও জনপ্রিয়তায় একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে তার ব্যবসায়িক ক্ষতি ও সম্মানহানির চেষ্টায় তৎপর হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের জুলাইয়ে তার নামে তারই কোচিং সেন্টারের ছাত্রী পরিচয়ে এক তরুণী যৌন হয়রানির মামলা করে। ওই তরুণীকে দিয়ে একটি চ্যানেলের সহযোগিতায় ওই চক্রটি সংবাদও পরিবেশন করেছে। এতে করে শাফিনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। অথচ মামলাটি এরই মধ্যে আদালতে ভুয়া মামলা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এ অবস্থায় শাফিন তার সম্মানহানিতে জড়িত সবার বিচার দাবি করেন।
শাফিন বলেন, আমার হয়রানি ও সম্মানহানির জন্য অদৃশ্য ওই মহল বেশকিছু প্রভাবশালী ইউটিউবারকে কাজে লাগায়। এমনকি বেশকিছু গণমাধ্যমেও আমাকে দোষী করে সংবাদ প্রকাশ করে। অথচ ঘটনার পুরো সময়ই আমি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলাম। পরে দেশে এসে আমার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এই মিথ্যা মামলার নিষ্পত্তি করি। বাদী সাদিয়া আরফিনের অভিযোগটি যে মিথ্যে ছিল, তা প্রমাণ করতে আদালতের কাছে আমার পাসপোর্টের মূল কপিও পেশ করেছি। আদালত পাসপোর্টের মূল কপি দেখে আমাকে জামিন দিয়েছিলেন। আদালত এই মামলাকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক বলে রায়ে উল্লেখ করেছেন। পুলিশি তদন্তে অভিযোগকারী সেই শিক্ষার্থীর ঠিকানা ভুয়া হিসেবেও প্রমাণিত হয়েছে।
শেখ বুলবুল বলেন, এ ঘটনায় এখনো আমি সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি। নিকটজনদের কাছেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। আমি আমার হারানো সম্মান ফিরে পেতে চাই। আমার প্রতিষ্ঠানটিকে আগের মতো করে গড়ে তুলতে সবার সহযোগিতা চাই।
শাফিন আরও বলেন, ইউটিউবের মধ্যমে সম্মানহানি করায় তাহসিনেশন ও নাসিম নামে দুই ইউটিউবারের বিরুদ্ধে মামলা করেছি, যা বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে। তবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী বাদী শিক্ষার্থীর খোঁজ না পাওয়ায় মামলা করতে পারছি না।