নানিয়ারচরে নিহত দু’জনের ময়নাতদন্ত শেষ, খোঁজ মেলেনি পরিবারের
১৪ অক্টোবর ২০২০ ২০:৪২
রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে ‘গোলাগুলি’র ঘটনায় নিহত দু’জনের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। তাদের কারোই পরিবারের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এখনো মরদেহ পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তবে, এর মধ্যে প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে নিহতদের একজনকে নিজেদের সদস্য দাবি করে দু’জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে, ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত সেনাসদস্য শাহাবুদ্দিনকে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) রাতে ওই দু’জনের মরদেহ উদ্ধারের পর বুধবার (১৪ অক্টোবর) সকালে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে তাদের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার কামাল বলেন, ‘নিহত দু’জনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে আনা রয়েছে। রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে এখনো কারো পরিবারের খোঁজ পাওয়া যায়নি। যদি কেউ মরদেহ দাবি না করে, তাহলে বেওয়ারিশ হিসেবে দাহক্রিয়া করা হবে। একইসঙ্গে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’
এদিকে, বুধবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নিহত দু’জনের একজনকে নিজেদের দলের সদস্য ও অন্যজনকে সাধারণ জেলে দাবি করেছে প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ। সংগঠনটির দাবি, নিহতদের মধ্যে আশাপূর্ণ চাকমা ওরফে রকেট (২৮) ইউপিডিএফ সদস্য। তিনি রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলার আঝাছড়ি গ্রামের মনোরঞ্জন চাকমার ছেলে। নিহত আরেকজন সদর উপজেলার বন্দুকভাঙা ইউনিয়নের ধামেইছড়া গ্রামের বাসিন্দা সুসেন মনি চাকমার ছেলে সম্ভু চাকমা (৩৫)। তিনি সাধারণ জেলে।
বিবৃতিতে ইউপিডিএফের রাঙ্গামাটি ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা ‘গোলাগুলি’র ঘটনাকে ‘নাটক’ দাবি করে বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট এলাকায় ইউপিডিএফের এক সদস্যসহ দু’জনকে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধের লক্ষে ইউপিডিএফ যে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, তা বানচাল করতেই আবারও ‘বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে’র আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে ‘গোলাগুলি’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধে’র নামে বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ ও পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরির দাবি জানায় ইউপিডিএফ।