বঙ্গবাজারে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে সড়ক বন্ধ করে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
২০ অক্টোবর ২০২০ ২২:১৬
ঢাকা: অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাজধানীর বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে বঙ্গবাজার মোড় অবরোধ করে তারা বিক্ষোভ করে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নামে কিছু লোক তাদের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছে। অবরোধের সময় তারা সড়কে যানচলাচল বন্ধ করে দেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক বন্ধ থাকার পর পুলিশের অনুরোধে তারা অবরোধ তুলে নেন।
এ সময় রিয়াদ হোসেন নামে একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমার কাছ থেকে ১০টা কার্টনে ৫০ টাকা করে ৫০০ টাকা চেয়েছে। আমরা অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাদেরকে বলে এটা আমরা মেয়র থেকে টেন্ডার নিয়েছি। যত মাল ঢুকবে টাকা দিতে হবে এবং যত মাল বের হবে টাকা দিতে হবে। আমরা তাদেরকে বলেছি, তাহলে মেয়র সাহেব আমাদেরকে চিঠি দেবে এর পর আমরা দোকান থেকে চাঁদা দেব। এরপর তারা কয়েকজন এসেছে আমাদেরকে তুলে নিয়ে যেতে চেয়েছে।’
এই ব্যক্তি চাঁদার রশিদ দেখিয়ে বলেন, ‘এখানে স্পষ্ট লেখা আছে তারা যানবাহনের টোল নিবেন। কিন্তু তারা আমাদের প্রতি বস্তা ও কার্টন থেকে মার্কেটে ঢুকতেও ৫০ টাকা ও বের হতেও ৫০ টাকা নেয়। অথচ আমরা লাভই করি ৫০ টাকা। এর মধ্যে ১০০ টাকা দিলে আমাদের থাকবে কি?’ এসময় আন্দোলনকারীরা ‘মেয়রের নামে চাঁদাবাজি চলবে না বলে স্লোগানও দিতে থাকেন’।
আন্দোলনকারীদের একজন উচ্চ স্বরে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ‘মার্কেটে একটা মালের বান্ডেল নিয়ে যেতে হলে তাদেরকে টাকা দিতে হয়। বের করলেও টাকা দিতে হয়। গোডাউন থেকে আনলেও টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে ব্যবসায়ীদের গালমন্দ করে, মারতে যায়, হুমকি দেয়। এরা নতুন করে আবির্ভাব হয়েছে।’
ওই ব্যক্তি আরও বলেন, ‘তাদের রিসিটে লেখা আছে সিটি করপোরেশন। দোহায় দেয় মেয়রের এপিএসের। যারা চাঁদা নেয় তারা বলে- এটা মেয়রের এপিএস টেন্ডার নিয়েছে। তাদের টেন্ডার হচ্ছে রাস্তায়, কিন্তু তারা চাঁদা তুলছে মার্কেটে। তারা প্রত্যেক মাল থেকে ৫০ টাকা করে দাবি করে। এজন্য আমরা চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে রাস্তায় নেমেছি।’
তবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য ডিএসসিসি মেয়রের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) নাছিরুল হাসান সজীবকে ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান মিনহাজ এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী শরীফুর রহমান বলেন, ‘এই ব্যক্তিরা আগেও চাঁদা দিতেন। কিন্তু তখন তারা চাঁদাবাজদেরকে চাঁদা দিতেন। একটি চক্র এই টাকা লুটপাট করে খেয়েছে। এখন আমরা এর ইজারা নিয়েছি। সরকার রাজস্ব পায়। তারা এখন বিভিন্ন কথা বলছে।’
জানতে চাইলে ডিএসসিসির মহা-ব্যবস্থাপক (পরিবহন) বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘যারা আন্দোলন করেছে তাদের কিছু কথা অতিরিঞ্জন হতে পারে। আমরা ওটা ইজারা দিয়েছি। সেখানে পরিবহন বেধে টোল নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। আর ইজারাদার যদি ইজারা শর্তের বাইরে কিছু করে থাকেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’