ঢাকা: এক পক্ষকাল ধরে যে ঘূর্ণাবর্তটি বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল, সেটি ধীরে ধীরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে। এর প্রভাবে উত্তর পশ্চিম ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ক্রমশ উত্তাল হয়ে উঠাছে। এ কারণে দেশের সবক’টি সমুদ্র বন্দরে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়া অফিসের মেঘ মানচিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ঘূর্ণাবর্তটি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়াও বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিম্নচাপটি সম্পর্কে সচেতন করতে একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি আজ বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছাকাছি সাগর উত্তাল রয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেগুলোকে গভীর সাগরে বিচরণ না করে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়া নিম্নচাপের কারণে রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমীবায়ু দেশের উত্তর-পশ্চিম অংশ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
অন্যদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টির এই প্রবণতা পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা কমে আসতে পারে।
ফাইল ছবি