চেতনানাশক খাইয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত মামাত ভাই আটক
২৩ অক্টোবর ২০২০ ০০:৫৯
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ সদরের চরাঞ্চলে দইয়ের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানোর পর অচেতন অবস্থায় ফুফাত বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে জাকারিয়া নামে এক তরুণের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের তিন দিন পর অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেছে র্যাব-১৪।
র্যাব-১৪ মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার জোনঈদ আফ্রাদ জানিয়েছেন, গত সোমবার (১৯ অক্টোবর) রাতে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার একটি চর হাসাদিয়া গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে জাকারিয়া তার দাদী ও ফুফাত দুই বোনকে দইয়ের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ায়। এসময় তারা তিন জন অচেতন হয়ে পড়লে কলেজছাত্রী বড় বোনকে ধর্ষণ করে জাকারিয়া পালিয়ে যায়।
পরে অভিযোগ পেয়ে র্যাবের একটি টিম জাকারিয়াকে আটক করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। অবশেষে বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) ভোরে সদরের দাপুনিয়ায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার জানিয়েছেন, ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রীর মা মারা গেলে তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে ঢাকায় চলে যান। ওই মেয়েটি তার ছোট বোনকে নিয়ে নানীর কাছে থাকে। সোমবার রাতে জাকারিয়া তাদের দেখতে যাওয়ার কথা বলে সঙ্গে দই নিয়ে যায়। ওই দইয়ের মধ্যেই সে চেতনানাশক কোনো ওষুধ মিশিয়েছিল। সেই দই খেয়ে সবাই অচেতন হয়ে পড়লে কলেজছাত্রী ফুপাত বোনকে ধর্ষণ করে জাকারিয়া পালিয়ে যায়।
ওসি বলেন, পরদিন সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় বাড়ির লোকজন তাদের ডাকতে যায়। ঘরের দরজা খোলা দেখে ঘরে ঢুকে সবাইকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। পরে পুলিশকে খবর দিলে কোতোয়ালি মডেল থানার ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে নির্যাতনের শিকার কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করে।