Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে প্রতিযোগিতা উদ্বেগজনক: তুরস্ক


২৫ অক্টোবর ২০২০ ২০:২২

ঢাকা: বিশ্বে এখন নতুন শক্তির উদয় এবং ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। নতুন শক্তির উদয় চলমান পরাশক্তির জন্য চ্যালেঞ্জ। যে কারণে যুক্তরোষ্ট্রর নেতৃত্বে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল (আইপিএস) এবং চীনের নেতৃত্বে বেল্ট অ্যান্ড রোড (বিআরআই) কৌশল বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। এসব হচ্ছে মূলত এই দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল বা ভারত মহাসাগর অঞ্চলকে ঘিরে।

চীনের উদ্যোগে বিআরআই এবং যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে অবাধ, মুক্ত এবং নিরাপদ আইপিএস বাস্তবায়ন নিয়ে দুই উদ্যোগের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতা চলছে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে এই প্রতিযোগিতাকে কিছুটা উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা ডটনেটের সঙ্গে একান্ত আলাপে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল (আইপিএস) ও চীনের ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড (বিআরআই) সম্পর্কে মূল্যায়ন জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান বলেন, ‘আমি মনে করি, চীনের উদ্যোগে বিআরআই এবং যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে অবাধ, মুক্ত এবং নিরাপদ আইপিএস বাস্তবায়ন মূলত দুইটি উদ্যোগের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতা। আমরা জানি যে এশিয়ায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা চলছে। এই অঞ্চলে অবকাঠামো উন্নয়ন, বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানো, রাজনৈতিক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করা— সবগুলো ক্ষেত্রেই এই দুই দেশ বা দুইটি উদ্যোগের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে।’

চীনের বিআরআই উদ্যোগকে তুরস্ক অনেক আগেই সমর্থন করেছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান বলেন, ‘আমরা চাই— এশিয়ার মানুষের সঙ্গে তুরস্কের মানুষের সংযোগ আরও ঘনিষ্ঠ হোক। আমরা এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও বাড়াতে চাই। আমাদেরও (তুরস্ক) মিডল করিডোর (বহুমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা, যা তুরস্কের সঙ্গে চীন, পশ্চিম ইউরোপ, রাশিয়া ও ইরানকে সংযুক্ত করেছে) নামে একটি উদ্যোগের বাস্তবায়ন চলছে, যেটিকে চীনের বিআরআই প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে চাই। তাই আমরা চীনের বিআরআই উদ্যোগকে সমর্থন করেছি।’

বিজ্ঞাপন

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন— এই দুই শক্তির মধ্যে প্রতিযোগিতা এই অঞ্চলের জন্য কিছুটা উদ্বেগজনক বলে করেন রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান। তিনি বলেন, ‘চীনের উদ্যোগের বাস্তবায়ন হলে এই অঞ্চলে তাদের প্রভাব বাড়বে। অন্যদিকে, আমেরিকানদের উদ্যোগও একইভাবে এই অঞ্চলের মানুষের ওপর তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাবে। এই অঞ্চলের উন্নয়নে দুই উদ্যোগের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। দুই শক্তির মধ্যে চলমান এই প্রতিযোগিতা কিছুটা উদ্বেগজনক।’

রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসফিক অঞ্চলের সবগুলো সম্ভাবনা কাজে লাগাতে আসিয়ান (দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতি সংস্থা, যা এই অঞ্চলের ১০টি দেশ নিয়ে গঠিত) খুব ভালো কাজ করছে। এক্ষেত্রে তুরস্কের নীতি হচ্ছে যে আমরা এই অঞ্চলের মানুষ এবং সরকারের চাহিদাকে গুরুত্ব দিতে চাই। কারও ওপর কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না। আমরা প্রতিযোগিতায় বিশ্বাসী নই। আমরা এই অঞ্চলের পারস্পরিক উন্নয়নের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করতে চাই।’

আরও পড়ুন-

হাজার বছরের সম্পর্কে গতি আনতে চায় তুরস্ক
‘জাতীয় স্বার্থে বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণ জরুরি’

আইপিএস ইন্দো-প্যাসিফিক ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল তুরস্ক তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বিআরআই বেল্ট অ্যান্ড রোড যুক্তরাষ্ট্র-চীন রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর