পায়েল হত্যা: হানিফ পরিবহনের বাস চালকসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

ঢাকা: নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলায় হানিফ পরিবহনের ড্রাইভারসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।  মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-  ড্রাইভার মো. জামাল হোসেন, সুপাভাইজার  মো. জনি ও হেলপার ফয়সাল হোসেন।

এদিন আসামিদের উপস্থিততে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক। এরপর সাজা পরোয়ানায় দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ৪ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন।

২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা। পরের বছর ২ এপ্রিল মামলাটির চার্জগঠন করে বিচার শুরু আদেশ দেন আদালত। চার্জশিটভুক্ত ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেছেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২১ জুলাই রাতে হানিফ পরিবহনের (নম্বর ৯৬৮৭) বাসে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ পঞ্চম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী পায়েল। ভোরে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া এলাকা থেকে তিনি নিখোঁজ হন। ওই বছরের ২৩ জুলাই সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গজারিয়া উপজেলার ভাটেরচর সেতুর নিচে খালে তার লাশ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় তার মামা গোলাম সোরয়ার্দী বিপ্লব তিন জনকে আসামি করে গজারিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ হানিফ পরিবহনের বাসের সুপারভাইজার জনিকে ঢাকার মতিঝিল এবং আরামবাগ থেকে চালক জামাল হোসেন ও হেলপার ফয়সালকে গ্রেফতার করে।

২৬ জুলাই চালক জামাল হোসেন মুন্সীগঞ্জের একটি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, চালক জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, বাসের অটো দরজার সঙ্গে ধাক্কা লেগে পায়েল রাস্তায় পড়ে যায়। এতে তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকলে মারা গেছে ভেবে তাকে পাশের ভাটেরচর সেতু থেকে নিচের খালে ফেলে দিয়ে গাড়ি চালিয়ে তারা ঢাকায় চলে আসেন।

এ ঘটনায় মামলা হলে মামলাটি বিচারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মো. আবু আব্দুল্লাহ ভূঞা এবং আসামি পক্ষে হজজাতুল ইসলাম আদালতে মামলাটি পরিচালনা করেন।