ট্রাম্প নাকি বাইডেন?
৩ নভেম্বর ২০২০ ১৫:০৭
বিশ্বব্যাপী এই মুহূর্তে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত প্রশ্ন— ট্রাম্প নাকি বাইডেন? অর্থাৎ আগামী চার বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন কে? রিপাবলিকান প্রার্থী ক্ষমতাসীন ডোনাল্ড ট্রাম্প কি ফিরবেন দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়ে? নাকি রাজনীতির ময়দানে পাঁচ দশকের অভিজ্ঞতা নিয়ে জো বাইডেন তাকে পরাস্ত করে ডেমোক্রেটদের পক্ষে ফের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রনায়কের পর ফিরিয়ে আনবেন?
ভোটগ্রহণ আর ভোটগণনা মিলিয়ে হয়তো আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সে প্রশ্নের উত্তর মিলবে। কিন্তু ভোটযুদ্ধের ময়দানে কার অবস্থান কেমন? ন্যাশনাল পোল কিংবা সুইং স্টেটগুলোতে আর শক্তিমত্তা কতটুকু? নির্বাচনি বিতর্কে কে কেমন করেছেন? করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের কৌশল কি কোনো প্রভাব রাখতে পারে নির্বাচনে?
এসব প্রশ্ন চূড়ান্ত কোনো ফল না দিলেও অন্তত কিছুটা হলেও ধারণা দেবে— ২৪ ঘণ্টা পর যুক্তরাষ্ট্র কি প্রেসিডেন্ট পদে নতুন কোনো মুখ দেখতে পাচ্ছে, নাকি আরও চার বছরের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আতিথেয়তা দিতে হবে হোয়াইট হাউজকে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে আরও খবর-
- আজ যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন
- জেনে নিন ‘ইলেকটোরাল কলেজ’ কী!
- পাঁচ রাজ্যে নির্ধারণ হবে প্রেসিডেন্ট ভাগ্য
- মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: আগাম ভোট পড়েছে ৯ কোটি
- আগাম ভোট বা ‘মেইল ইন ব্যালটে’ আগ্রহ কেনো মার্কিন ভোটারদের
- ‘তুমি আর আমার মা নও’— নির্বাচন যেভাবে আমেরিকাকে দু’ভাগ করছে
জরিপে এগিয়ে বাইডেন
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে কে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন, ন্যাশনাল পোল বা জরিপ থেকে সে সম্পর্কে মোটামুটি ভালো একটি ধারণা পাওয়া সম্ভব। তবে ইলেকটোরাল কলেজসহ নানা জটিলতার মারপ্যাচে এটি নিশ্চিত করে বলা সম্ভব না, ন্যাশনাল পোলে জনপ্রিয় প্রার্থীই নির্বাচিত হবেন।
২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেমন হিলারি ক্লিনটন এই জরিপে ব্যাপকভাবে এগিয়ে ছিলেন। শুধু তাই নয়, ট্রাম্পের তুলনায় প্রায় ৩০ লাখ ভোটও বেশি পেয়েছিলেন। কিন্তু শেষমেষ ইলেকটোরাল কলেজের মারপ্যাচে জয়ের হাসি হেসেছিলেন ট্রাম্প। ফলে কেবল জনপ্রিয়তার দৌড় নয়, বেশি ভোট পাওয়াটাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চূড়ান্তভাবে জয়ী হওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়।
গতবারের নির্বাচনের মতোই এবারও ন্যাশনাল পোলে ডেমোক্রেট প্রার্থীই এগিয়ে রয়েছেন। অর্থাৎ জো বাইডেনের জনপ্রিয়তা এখন পর্যন্ত বেশি দেখা গেছে মার্কিনিদের মধ্যে। এ বছরের শুরু থেকেই বিভিন্ন জরিপে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। গত কয়েক মাসেও তার জনপ্রিয়তার পারদ ছিল ঊর্ধ্বমুখী এবং ট্রাম্পের তুলনায় ১০ শতাংশ পয়েন্টে এগিয়েও ছিলেন তিনি একাধিকবার। সবশেষ ১ নভেম্বরের তথ্য বলছে, বাইডেনের পক্ষে সমর্থন রয়েছে জরিপে অংশ নেওয়া ৫২ শতাংশ নাগরিকের, ট্রাম্পের পক্ষে সমর্থন ৪৪ শতাংশের।
ভাগ্য নির্ধারক রাজ্য যেগুলো
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে, বেশি ভোট পাওয়াটাই এই নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নয়। এর চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে কোন কোন রাজ্যে একজন প্রার্থী জয়ী হবেন। এমনিতেই যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলোর মধ্যে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান অধ্যুষিত বেশকিছু রাজ্য রয়েছে চিহ্নিত। অর্থাৎ এসব রাজ্যতে ডেমোক্রেট বা রিপাবলিকান শিবিরের জয় নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এর বাইরে কিছু রাজ্য থাকে, যেগুলোতে জয়-পরাজয়ই তখন নির্বাচনে চূড়ান্ত ফলকে নির্ধারণ করে দেয়। এগুলোকে বলে ‘সুইং স্টেট’ বা ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট’। আর বেশি ভূমিকা রাখে ইলেকটোরাল কলেজ সংখ্যা।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলো থেকে হাউজ ও সিনেট, তথা কংগ্রেসে কী পরিমাণ প্রতিনিধি থাকেন, তার ওপর ভিত্তি করে রাজ্যগুলোর ইলেকটোরাল কলেজের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। সব রাজ্য মিলিয়ে এই ইলেকটোরাল কলেজের সংখ্যা ৫৩৮। সে হিসাবে এই নির্বাচনে জিততে হলে অন্তত ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ নিশ্চিত করতে হয়।
এখন ডেমোক্রেট বা রিপাবলিকান হিসেবে পরিচিত যেসব রাজ্য, সেগুলোর তুলনায় দেখা যায় এসব ‘সুইং স্টেট’গুলোতে ইলেকটোরাল কলেজের সংখ্যা বেশি। অর্থাৎ এসব রাজ্য জয় করতে পারলে নির্বাচন জয়ের পথও সুগম হয়ে পড়ে।
এবারের নির্বাচনে সুইং স্টেট বা ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট বলা হচ্ছে ১৪টি রাজ্যকে। এগুলো হলো— অ্যারিজোনা, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, আইওয়া, মিশিগান, মিনেসোটা, নেভাদা, নিউ হ্যাম্পশায়ার, নর্থ ক্যারোলাইনা, ওহাইও, পেনসিলভ্যানিয়া, টেক্সাস, ভার্জিনিয়া ও উইসকনসিন। তবে এর মধ্যেও আবার ভাগ্য নির্ধারক রাজ্য মনে করা হচ্ছে পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, উইসকনসিন, জর্জিয়া ও ফ্লোরিডাকে।
সুইং স্টেটের হালচাল
সবশেষ পোলের হিসাব বলছে, ১৪টি সুইং স্টেট বা ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটের মধ্যে ট্রাম্প এগিয়ে মাত্র পাঁচটি স্টেটে। এগুলো হচ্ছে জর্জিয়া, আইওয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, ওহাইও ও টেক্সাস। বাকি ৯টিতেই এগিয়ে বাইডেন। তবে মনে রাখতে হবে, সুইং স্টেটগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ আছে টেক্সাসে, যেখানে এগিয়ে ট্রাম্প। তার এগিয়ে থাকা বাকি চারটি রাজ্যের মধ্যে আইওয়াতে ইলেকটোরাল কলেজ কিছুটা কম থাকলেও বাকি তিনটি রাজ্যেই ইলেকটোরাল কলেজের সংখ্যা যথেষ্ট বেশি। তারপরও পেনসিলভ্যানিয়া, ফ্লোরিডা, অ্যারিজোনার মতো বড় রাজ্যগুলোতে এগিয়ে থাকায় বাইডেন সার্বিকভাবে সুইং স্টেটগুলোতে এগিয়ে রয়েছেন বলাই যায়।
মার্কিনিদের তিন শিল্পরাজ্য হিসেবে খ্যাত মিশিগান, পেনসিলভ্যানিয়া ও উইসকনসিনে বাইডেন এখনো এগিয়ে। আগের নির্বাচনে মাত্র ১ শতাংশেরও কম ভোটের ব্যবধানে হিলারিকে হারিয়ে এসব রাজ্যে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন ট্রাম্প। আবার ওই নির্বাচনে আইওয়া, ওহাইও ও টেক্সাসের মতো রাজ্যগুলোতে ৮ থেকে ১০ শতাংশ ব্যবধানে জয় পেয়েছিলেন ট্রাম্প। এবারও তিনি এসব রাজ্যে এগিয়ে থাকলেও ব্যবধান সামান্য।
প্রভাবশালী ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইকোনস্টের বিশ্লেষণ বলছে, বাইডেনই এই নির্বাচনে সম্ভাব্য বিজয়ী প্রার্থী। ২৫৩টি থেকে শুরু করে ৪১৫টি ইলেকটোরাল কলেজ তিনি পেতে পারেন। অন্যদিকে ট্রাম্প পেতে পারেন ১২৩টি ইলেকটোরাল কলেজ। এই সংখ্যা সর্বোচ্চ হতে পারে ২৮৫। মার্কিন রাজনৈতিক বিশ্লেষণমূলক ওয়েবসাইট ‘ফাইভথার্টিএইট’-ও বাইডেনকেই সম্ভাব্য বিজয়ী প্রার্থী হিসেবে দেখছে। তবে ট্রাম্পের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দিচ্ছে না তারা।
কী ঘটেছিল প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রেখেছে। মূলত প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী এই অংশটিতে সরাসরি মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিয়ে থাকেন।
এ বছর গত ২৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় প্রথম ডিবেট। এই বিতর্কে চরম আক্রমণাত্মক ছিলেন ট্রাম্প, বলা যায় বাইডেনকে বিতর্ক করার কোনো সুযোগই দেননি। বাইডেন যতটুকু সুযোগ পেয়েছেন, চেষ্টা করেছেন সদ্ব্যবহারের। সেটিই তার জন্য ভালো হয়েছে বরং। কারণ সিবিএস নিউজ ও ইউগভের জরিপ বলছে, ৪৮ শতাংশ দর্শকই মনে করেছেন, বাইডেন বিতর্কে জিতেছেন। এর বিপরীতে ট্রাম্পকে ওই বিতর্কে বিজয়ী মনে করেছেন ৪১ শতাংশ দর্শক। তবে ৭০ শতাংশ দর্শই বিতর্ক দেখে বিরক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বিতর্কে আয়োজকরা রীতিমতো ‘মিউট’ বাটন চালু করেন। অবশ্য এই বিতর্কে ট্রাম্প এমনিতেই আক্রমণাত্মক মনোভাব পরিহার করেছিলেন। দুই প্রার্থীই তাদের পলিসি তুলে ধরতে মনোযোগী ছিলেন। সিএনএনের জরিপ বলছে, এই বিতর্কেও বাইডেন এগিয়ে ছিলেন। ৫৩ শতাংশ দর্শকই তার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ৩৯ শতাংশ জানিয়েছেন, ট্রাম্প এই বিতর্কে ভালো করেছেন। ইউগভের জরিপও প্রায় একই কথাই বলছে।
সেক্ষেত্রে ট্রাম্পই যতই মনে করুন না কেন তিনি বিতর্কে জিতেছেন, জনমত জরিপে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে বাইডেনই।
ট্রাম্পের ওপর করোনার প্রভাব আছে কি?
নির্বাচনের মাত্র একমাস আগে জানা গেল, ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পসহ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণে আক্রান্ত। এদিকে, শুরু থেকেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণে জেরবার হলেও সেপ্টেম্বরে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারক রুথ বেডার গিনসবার্গের মৃত্যু আলোচনার শীর্ষে উঠে আসে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশটি যুক্তরাষ্ট্রই। দেশটিতে ৯৫ লাখেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ২ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ। করোনা মোকাবিলায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা যথেষ্টই সমালোচনার মুখে পড়েছে। মাস্ক ব্যবহার করা বা না করা নিয়েও ট্রাম্প বরাবরই আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। নিজেও শেষ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সস্ত্রীক। তাতে ফের সব আলোচনা টেনে নিয়েছেন নিজের দিকেই।
এবিসি নিউজ ও ইপসসের একটি জরিপ বলছে, মার্কিনিদের মধ্যে ডেমোক্রেট সমর্থক যারা, তাদের ২৫ শতাংশেরও কম মানুষ মনে করেন ট্রাম্প ভালোভাবে করোনা মোকাবিলা করেছিলেন। রিপাবলিকান পার্টির সমর্থকদের মধ্যে এই সংখ্যা অবশ্য ৭৬ শতাংশ। আর সার্বিকভাবে মার্কিনিদের ৩৫ শতাংশ এ ক্ষেত্রে ট্রাম্পের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন। ট্রাম্পের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সম্পর্কে জরিপে অংশ নেওয়া ৭২ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, ট্রাম্প এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানো প্রতিরোধ করার বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন ছিলে না।
ইয়াহু নিউজ ও ইউগভের আরেক জরিপ বলছে, অর্ধেক মানুষই মনে করছেন, ট্রাম্প নিজে যদি সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতেন এবং মাস্ক পরতেন, তাহলে তিনি এই ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে পারতেন।
জরিপ কতটা বিশ্বাসযোগ্য
জরিপের বিষয়টি এলেই অনেকে আগের নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তারা বলেন, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রায় সব জরিপই হিলারি ক্লিনটনকে বিজয়ী দেখাচ্ছিল। তারপরও ওই নির্বাচনে ট্রাম্প জয় পেয়েছিলেন। তবে এখানে একটি বিষয় মনে রাখা জরুরি, হিলারি যেমন জরিপে এগিয়ে ছিলেন, ঠিক একইভাবে তিনি ট্রাম্পের চেয়ে ৩০ লাখ ভোটও বেশি পেয়েছিলেন। তবে হেরে গিয়েছিলেন ইলেকটোরাল কলেজে।
বিশ্লেষকরা বলে থাকেন, ২০১৬ সালে জরিপগুলোতে স্বল্পশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব সঠিকভাবে উঠে আসেনি। যাদের কলেজ ডিগ্রি নেই, তাদের মতামতগুলো সঠিকভাবে উঠে আসেনি ওইসব জরিপে। ফলে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে ট্রাম্পের পক্ষে সমর্থনগুলোও সঠিকভাবে উঠে আসেনি।
এখন বেশিরভাগ জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থাই এ বিষয়টিকে আমলে নিয়েছে। ফলে সেদিক থেকে জরিপের ফলকে আরও ইতিবাচকভাবে দেখা সম্ভব। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে মানুষজন যেভাবে স্বাস্থ্যগত দিক থেকে এবং অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাতে শেষ পর্যন্ত তাদের ভোটটি কোন দিকে যাবে, তা বলাটা কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব জরিপের ফলই বিবেচনায় নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা সন্দেহপোষণ করাই যেতে পারে।
বিবিসি অবলম্বনে
জো বাইডেন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন-২০২০ যুক্তরাষ্ট্র সুইং স্টেট