ভোট পুনর্গণনা নিয়ে ৪ রাজ্যে মামলা-আবেদন ট্রাম্পের
৫ নভেম্বর ২০২০ ০৮:৪৩
নির্বাচনের ভোটগণনা শেষের দিকে। আর মাত্র পাঁচ রাজ্যে ভোট বাকি। এরকম পরিস্থিতিতে ২৬৪ ইলেকটোরাল কলেজ নিয়ে ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজের ম্যাজিক্যাল ফিগারের খুব কাছাকাছি ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন। চার রাজ্যে ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও এই রাজ্যগুলোতে জয় ট্রাম্পকে ২৬৮টি ইলেকটোরাল কলেজ পর্যন্ত নিয়ে যেতে সক্ষম।
এমন পরিস্থিতিতে চার চারটি রাজ্যে ভোট পুনর্গণনা চাইছেন রিপাবলিকান প্রার্থী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ জন্য রীতিমতো মামলাও করা হয়েছে তার নির্বাচনি প্রচারণা টিমের পক্ষ থেকে। এর মধ্যে উইসকনসিন ও মিশিগান— দুইটি রাজ্যেই বাইডেন জয় পেয়েছেন। আর জর্জিয়া ও পেনসিলভ্যানিয়াতে ট্রাম্প এগিয়ে রয়েছেন সামান্য ভোটের ব্যবধানে।
বিবিসি ও মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি’র খবর, ভোটগণনা শুরুর পর থেকেই উইসকনসিন ও মিশিগানে এগিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ ভোটগণনা পর্যন্ত মিশিগানে এবং ৯০ শতাংশ ভোটগণনা পর্যন্ত উইসকনসিনে এগিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। ভোটগণনার শেষের অংশে গিয়ে শেষ পর্যন্ত দুইটি রাজ্যেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন বাইডেন। আর সেটিই মানতে পারছেন না ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে আরও খবর-
- ট্রাম্প নাকি বাইডেন?
- যেসব রাজ্যে ভোট গণনা এখনও বাকি
- জয়ের পথে: বাইডেন; রাতে উদযাপন: ট্রাম্প
- ভোটের হাওয়া ঘুরেছে, পাল্লা এবার বাইডেনের পক্ষে
- ম্যাজিক নম্বর ২৭০, যেভাবে পৌঁছাতে পারেন ২ প্রার্থী
- মিশিগানেও জয়, ম্যাজিক ফিগারের খুব কাছে বাইডেন
- মেইল ইন ব্যালটেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভাগ্য নির্ধারণ!
- শেষ মুহূর্তে ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটে’ ছুটেছেন ট্রাম্প-বাইডেন
- হিসাবের পাল্লা ভারি হচ্ছে, ট্রাম্পই থাকছেন হোয়াইট হাউজে?
- চূড়ান্ত ফল পাওয়ার আগেই নিজেকে জয়ী ঘোষণা করলেন ট্রাম্প
রিপাবলিকান এই প্রার্থীর নির্বাচনি প্রচারণা টিমের পক্ষ থেকে উইসকনসিনে ভোটগণনায় ‘দৃশ্যমান অস্বাভাবিকতা’র অভিযোগ আনা হয়েছে। সে কারণেই তাদের হিসাবে নিশ্চিত জয়ের এই রাজ্যটিতে ভোট পুনর্গণনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
মিশিগানেও ৭০ শতাংশ ভোটগণনা পর্যন্ত বড় ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। পরবর্তী সময়ে মেইল ইন ব্যালট বা আগাম ভোট গণনায় এগিয়ে যান বাইডেন। এ পরিস্থিতিতে এ রাজ্যে ভোটগণনা বন্ধ চেয়ে মামলা ঠুকে দেয় ট্রাম্পের নির্বাচনি শিবির। শেষ পর্যন্ত এই রাজ্যে অবশ্য বাইডেনকে জয়ী দেখানো হয়েছে। মামলার নিষ্পত্তি কিভাবে হবে, সেটিই এখন প্রশ্ন।
ফল ঘোষণা না হওয়া জর্জিয়ার কিছু কিছু অংশে ভোটগণনা বন্ধ রাখার জন্যও মামলা করা হয়েছে ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণা দলের পক্ষ থেকে। এই রাজ্যে এখন পর্যন্ত শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। ভোটগণনা হয়েছে ৯৮ শতাংশ।
এর বাইরে ভোটগণনা বাকি থাকা রাজ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২০টি ইলেকটোরাল কলেজধারী পেনসিলভ্যানিয়াতেও মামলা করেছে ট্রাম্প শিবির। রাজ্যটিতে নির্বাচনের দিনেও পোস্ট করা এবং নির্বাচনের তিন দিন পরও হাজির হওয়া ‘মেইল ইন ব্যালট’ বিবেচনায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই আবেদন ট্রাম্প শিবিরের। তাদের দাবি, নির্বাচনের দিনের পর হাজির হওয়া কোনো ভোটই গণনার আওতায় নিয়ে আসা যাবে না। এই রাজ্যে এখনো লক্ষাধিক ভোট গণনা বাকি রয়েছে।
তবে বর্তমান পরিস্থিতি ট্রাম্পের জন্য একটু নাজুকই বলা যায়। কেননা এগিয়ে থাকা নেভোদাতে জিতলেই বাইডেন পৌঁছে যাবেন ২৭০ ইলেকটোরাল কলেজের কাঙ্ক্ষিত ল্যান্ডমার্কে। অন্যদিকে ট্রাম্প যে চার রাজ্যে এগিয়ে রয়েছেন (আলাস্কা, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা ও পেনসিলভ্যানিয়া), সেগুলোতে জয় পেলেও তার ইলেকটোরাল কলেজ দাঁড়াতে ২৬৮টিতে। অর্থাৎ ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ পেরোতে হলে নেভাদাতে বাইডেনকে অতিক্রম করতে হবে ট্রাম্পকে। এতসব ‘যদি-কিন্তু’ ট্রাম্প অতিক্রম করতে পারবেন কি না, সেটি সময়ই বলবে।
উইসকনসিন জর্জিয়া জো বাইডেন ডোনাল্ড ট্রাম্প পেনসিলভ্যানিয়া ভোট পুনর্গণনা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন-২০২০ মিশিগান