সঙ্গীদের সমর্থন হারাচ্ছেন ট্রাম্প!
৭ নভেম্বর ২০২০ ০২:৪৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউজ ও তার নির্বাচনী দলের কিছু ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা-কর্মকর্তার সমর্থন হারাচ্ছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন হোয়াইট হাউজের কোনো কর্মকর্তার নাম প্রকাশ না করে এক প্রতিবেদনে এমনটা জানিয়েছে। সিনএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচন নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নানা বিবৃতিতে বিরক্ত এসব কর্মকর্তা ও উপদেষ্টারা। বিশেষ করে কোনো প্রমাণ ছাড়াই ’ভোট চুরি’র মতো গুরুত্বর অভিযোগ তোলার বিষয়টিকে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি বলে বিবেচনা করছেন তারা।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণের পর তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও চূড়ান্ত বিজয়ীর নাম পাওয়া যায়নি। তবে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই পাল্লা ঝুলতে থাকে জো বাইডেনের দিকে। পরে শুক্রবার জর্জিয়া ও পেনসিলভ্যানিয়ায় ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ায় এখন ম্যাজিক নম্বর ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট স্পর্শ করতে সবচেয়ে কাছাকাছি তিনি। কেননা, এসব রাজ্যে গণনার অপেক্ষায় থাকা বাকি ভোটের বেশিরভাগই মেইল ইন ব্যালট। আর মেইল ইন ব্যালটের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশই যাচ্ছে জো বাইডেনের ঘরে। তাই বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জো বাইডেনের জয় এখন শুধু চূড়ান্ত ঘোষণার অপেক্ষায়।
সিএনএন জানায়, এক সিনিয়র কর্মকর্তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলো, ‘এর পরে ট্রাম্প কী করতে যাচ্ছেন?’— এ প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, “ঈশ্বর, কে জানে”।
সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, হোয়াইট হাউজ ও নির্বাচনী দলের কিছু উপদেষ্টা ও কর্মকর্তারা মনে করেন, নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে যে কোনো ধরনের লড়াইয়ের অধিকার আছে প্রেসিডেন্টের, তবে তিনি যে উপায়ে তা করছেন, এটি সঠিক পথ নয়।
এদিকে নির্বাচনের পরদিন বুধবার সন্ধ্যায় দেওয়া এক বক্তৃতার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির কয়েকজন জ্যোষ্ঠ নেতা তা ভালোভাবে নেননি। ওই বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেছিলেন, “আপনি যদি বৈধ ভোটগুলো গণনা করেন তবে আমি সহজেই জিতব। আর আপনি যদি অবৈধ ভোট গণনা করেন, তবে তারা হয়ত আমাদের কাছ থেকে নির্বাচনী ফলাফল চুরি করতে পারে”।
দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, এ বক্তব্যের পরপর দলের বহু নেতা ট্রাম্পের এমন অবস্থানকে গণতন্ত্রের পরিপন্থী বলে মনে করছেন। দলের কয়েকজন নেতা প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের বিরুদ্ধে পাল্টা বক্তব্যও দিয়েছেন।
ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেস সদস্য অ্যাডাম কিনজিংগার টুইটারে বলেন, “প্রেসিডেন্টের মিথ্যাচার পাগলামিতে রূপ নিয়েছে”। তিনি তার দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “ভুল তথ্য ছড়ানো বন্ধ করুন”।
টেক্সাসের কংগ্রেস সদস্য উইল হুর্ড টুইটারে বলেন, “প্রত্যেক আমেরিকানের ভোট গণনা করা উচিত। তিনি বলেন, “একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট আমাদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে অবমাননা করছেন, এবং কোনো প্রমাণ ছাড়াই অসংখ্য আমেরিকান নাগরিকের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, এটি শুধু ভয়ংকর ও ভুল নয়, এটি আমাদের দেশের মূল ভিত্তিকে অবমাননা করে”।
— Mitt Romney (@MittRomney) November 6, 2020
এদিকে রিপাবলিকান পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা সিনেটর মিট রমনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভোট চুরির অভিযোগের ব্যাপারে বলেন, “এটি আমেরিকাসহ সারা পৃথিবীতে স্বাধীনতার অর্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে”।
জো বাইডেন ডেমোক্রেট ডোনাল্ড ট্রাম্প পেনসিলভ্যানিয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন-২০২০ রিপাবলিকান