হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫২ ডেঙ্গুরোগী, ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি ১৫ জন
৭ নভেম্বর ২০২০ ১৭:৫৭
ঢাকা: বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় যখন ব্যস্ত বাংলাদেশ, ঠিক এমন পরিস্থিতিতেও থেমে নেই এডিস মশার আক্রমণ। শুক্রবার (৬ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে থেকে শনিবার (৭ নভেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সময়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজধানী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫ জন। সব মিলিয়ে বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৫২ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শনিবার (৭ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের স্বাস্থ্য তথ্য ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী পরিচালক ডা. মো. কামরুল কিবরিয়ার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় তিন জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে তিন জন, এভারকেয়ার হাসপাতালে দুজন ও ল্যাব এইড হাসপাতালে দুইজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, স্কয়ার হাসপাতাল, কাকরাইল ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল ও ইউনাইটেড হাসপাতালে একজন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন।
কন্ট্রোল রুমের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালে এখন পর্যন্ত দেশে ৭১২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৫৫ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
মূলত ২০০০ সালে প্রথম ডেঙ্গু দেখা দেওয়ার পর ২০১৯ সালের জুন মাসেই ব্যাপকভাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়া শুরু হয় যার ধারাবাহিকতা বজায় থাকে জুলাই মাসেও। আগস্ট মাসে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। পরে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করে। যার ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসেও দেশে ১৯৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়।
পরবর্তীতে এ সংখ্যা আরও কমে আসে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৪৫ জন, মার্চ মাসে ২৭ জন, এপ্রিল মাসে ২৫ জন, মে মাসে ১০ জন, জুন মাসে ২০ জন, জুলাই মাসে ২৩ জন, আগস্ট মাসে ৬৮ জন, সেপ্টেম্বর মাসে ৪৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেও অক্টোবর মাসে এই সংখ্যা বেড়ে যায়।
অক্টোবর মাসে ১৬৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী দেশের বিভিন্ন স্থানের হাসপাতালে ভর্তি হয়। নভেম্বর মাসে এরইমধ্যে ৮৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও রোগ গবেষণা (আইইডিসিআর) শাখার এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাঁচজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার তথ্য পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি দুইটি মৃত্যু পর্যালোচনা করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজনের মারা যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে।