অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে ‘ব্যবসা’ হচ্ছে কি না— খতিয়ে দেখছে মাউশি
১৩ নভেম্বর ২০২০ ১৩:২৫ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২০ ১৫:১২
ঢাকা: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের যে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হচ্ছে তা মনিটরিং করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া-নেয়া নিয়ে কোন ব্যবসা হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোন প্রতিষ্ঠান যদি মাউশির দেয়া সার্বিক নির্দেশনা না মেনে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনা করে তাহলে সেই প্রতিবেদনও অধিদফতরে পাঠাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) মাউশি থেকে সব আঞ্চলিক পরিচালক, উপ-পরিচালক এবং সব জেলা-উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে এসব নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
স্কুলের অ্যাসাইনমেন্ট মিলছে দোকানে, দাম ৩০ টাকা
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে বর্তমানে দেশের সকল শ্রেণীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বাতিল করা হয়েছে এইচএসসিসহ সকল পাবলিক পরীক্ষা। কিন্তু মাধ্যমিকে মেধা যাচাইয়ের জন্য অ্যাসাইনমেন্ট দেয়ার পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। ৩০ দিনের মধ্যে পাঠ্যক্রম শেষ করে দিতে শিক্ষকরাও নিয়মিত অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে যাচ্ছেন। মাউশির পক্ষ থেকে নির্দেশনা আছে, ৬ সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পুরো পাঠ্যক্রম শেষ করে দিতে।
যদিও অ্যাসাইনমেন্ট করা নিয়ে ইতোমধ্যেই নানা রকমের অভিযোগ জমা পড়ছে মাউশির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের টেবিলে। এজন্যই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে প্রতিষ্ঠানটি। মাউশি এজন্য ছয় সপ্তাহে দুটি প্রতিবেদন পাঠাতে বলেছে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের। প্রথম প্রতিবেদনটি আগামি ২৬ নভেম্বর এবং ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি তিন সপ্তাহের প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে।
যথা সময়ে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে কি না, নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের প্রতি সপ্তাহে তিনটি অ্যাসাইমেন্ট দেয়া হচ্ছে কি না, শিক্ষার্থীরা সাদা কাগজে অ্যাসাইনমেন্ট নিজ হাতে লিখে জমা দিচ্ছে কি না— এই বিষয়গুলো লিখতে বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।
উল্লেখ্য, নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম। এর আগে মার্চের ১৮ তারিখে করোনা ঝুঁকির মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।