বিজয় দিবসে রাজাকারদের আংশিক তালিকা, হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা ডাটাবেজও
২৫ নভেম্বর ২০২০ ১০:৪৩
ঢাকা: বিজয় দিবসে রাজাকারদের নির্ভুল তথ্যভিত্তিক আংশিক তালিকা প্রকাশ করবে সরকার। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা ডাটাবেজে নেওয়া হচ্ছে। রাজাকারের আংশিক তালিকা প্রণয়নের চূড়ান্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এই তালিকা প্রকাশের পর পর্যায়ক্রমে সারাদেশের রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা হবে। এছাড়া ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ যাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ছবি প্রদর্শনী ও প্রমাণ্যচিত্র দেখানো হবে। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় এবং এ সংক্রান্ত সংসদীয় উপকমিটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় সারাদেশে যেসব ব্যক্তি পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা করে স্বাধীনতার বিপক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছিল এবং মানুষের বাড়ি-ঘর লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগ করেছে তাদের (রাজাকার) তালিকা করা হচ্ছে। মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডারদের সহায়তা নিয়ে এই তালিকা সংগ্রহ করছে। তাদের পাঠানো তালিকা ও তথ্য-উপাত্ত মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই করে রাজাকারদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করছে।
সংশ্লিষ্ট সরকারি সূত্র বলেছে, যদিও সারাদেশ থেকে এখনও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা রাজাকারের তালিকা পাঠাতে পারেনি। ফলে আগামী বিজয় দিবসে সারাদেশের রাজাকারের পুরো তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে রাজাকারদের আংশিক তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে। এই তালিকা প্রকাশ করবে সংসদীয় উপ-কমিটি।
এসব বিষয় নিয়ে সংসদীয় উপ-কমিটির আহবায়ক সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তিনি সম্প্রতি সংসদীয় উপ-কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে রাজাকারের তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছি। কিছু তালিকা আমরা সংগ্রহ করেছি। আশা করছি, আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যেই আংশিক তালিকা প্রকাশ করব। আর পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে পর্যায়ক্রমে।’
গত বছর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তথ্য নিয়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের ‘বিতর্কিত’ তালিকা প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পরে সরকার। পরে ওই তালিকা বাতিল করা হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ নিয়ে সংসদে সমালোচনার মুখে পড়েন। সরকারি দলের সদস্যরাই সংসদে মন্ত্রীর সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন।
এসব বিষয় নিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘করোনা মহামারীর কারণে বিজয় দিবসের কিছু অনুষ্ঠান বাতিল এবং কিছু অনুষ্ঠানে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ বছর প্যারেড গ্রাউন্ডে কুচকাওয়াজ হচ্ছে না। তবে এর বাইরের বাকি অনুষ্ঠানগুলো হবে। অনুষ্ঠানগুলোতে র্ভাচুয়ালি অংশ নেবেন অতিথিরা। জেলখানাগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। এছাড়া বিজয় দিবসে রাজাকারের আংশিক তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে। তালিকা প্রণয়নের কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। এই কাজটি করছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় উপ-কমিটি।’
আংশিক তালিকা ডাটাবেজ বিজয় দিবস মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় মুক্তিযোদ্ধা রাজাকার সরকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়