অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নে যত্নশীল হতে মাউশির তাগিদ
২৬ নভেম্বর ২০২০ ২৩:৩৭ | আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২০ ০০:১৬
ঢাকা: শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নে শিক্ষকদের আরও যত্নশীল হওয়ার তাগিদ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক। অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর খাতায় ‘অতি উত্তম’, ‘উত্তম’, ‘ভালো’ বা ‘অগ্রগতি প্রয়োজন’ লিখে এই শব্দগুলো কেন লেখা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের কাছে তার কারণ ব্যাখ্যা করতেও বলেছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে মাউশি মহাপরিচালক বলেন, এটি করা হলে নতুন এই শিক্ষা পদ্ধতিটির প্রতি শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ বাড়বে। এটি তখন তাদের স্বাভাবিক শিক্ষার মতোই আনন্দময় হয়ে উঠবে তাদের কাছে।
করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও একমাসের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পাঠদান চলছে। ফলে আগের মতো শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা না করে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে অ্যাসাইনমেন্ট। শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া, গ্রহণ করা, মূল্যায়ন করা এবং শিক্ষার্থীদের পুনরায় সেই মূল্যায়িত অ্যাসাইনমেন্টটি দেখিয়ে তা স্কুলে সংরক্ষণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই পুরো কাজটিতে তাই শিক্ষকদের পুরোপুরি যত্নশীল হতে নির্দেশ দিয়েছে মাউশি।
মাউশি মহাপরিচালক বলেন, শিক্ষকরা যত্নশীল হলে শিক্ষার্থীরা তার সবলতা বা দুর্বলতা বুঝতে পারবে। ভবিষ্যতে শিক্ষকরাও অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করতে পারবে। এভাবে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম করা হবে।
ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক বলেন, এই পদ্ধতিতে পাঠদান চালিয়ে যেতে পারলে শিক্ষার্থীদের মুখস্থনির্ভরতা কমে আসবে। এদের চিন্তার প্রসার হবে এবং সৃষ্টিশীল হবে। পরীক্ষা দেওয়ার সময় তারা আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে, পরীক্ষাভীতি চলে যাবে। ফলে পরীক্ষা হয়ে উঠবে তাদের কাছে শিখনফল অর্জনের অন্যতম মাধ্যম।
এছাড়াও গত মঙ্গলবার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে পাঠানো এক অনুরোধপত্রে তিনি লিখেছেন, সর্বশেষে যে কাজটি আপনারা আন্তরিকতার সঙ্গে করছেন, সেটা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া, গ্রহণ করা, মূল্যায়ন করা এবং শিক্ষার্থীদের পুনরায় সেই মূল্যায়িত অ্যাসাইনমেন্টটি দেখিয়ে তা স্কুলে সংরক্ষণ করা। এই কাজগুলো নিয়মিত করার কারণে শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন মাউশি মহাপরিচালক।